ঢাকা : আগামী ৩ নভেম্বর মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। মাঝখানে দুই মাসের ব্যবধান। মার্কিন দুই রাজনৈতিক শিবির ডেমোক্র্যাট এবং রিপাবলিকান দুই পক্ষেরই নজর ভারতীয়-মার্কিন ভোটার টানার দিকে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভোট পূর্ববর্তী সমীক্ষায় বোঝা যাচ্ছে লড়াই হবে হাড্ডাহাড্ডি। ফলে প্রায় ২৫ লাখ ভারতীয়-মার্কিনের ভোট নির্ণায়ক শক্তি হয়ে উঠতে পারে।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যে এই ভোট ব্যাঙ্ককে যথেষ্ট গুরুত্ব দিচ্ছেন, রোববার তা আরও একবার প্রমাণিত হলো। রিপাবলিকান প্রার্থীর প্রথম নির্বাচনী টেলিভিশন বিজ্ঞাপন প্রকাশিত হয়েছে। তার একটা বড় অংশ জুড়ে রয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
ট্রাম্পের যে নির্বাচনী বিজ্ঞাপন প্রকাশিত হয়েছে, তার প্রথম ফ্রেমেই হিউস্টনে মোদীর বিশাল অনুষ্ঠানের ছবি। যেখানে দেখা যাচ্ছে মোদী এবং ট্রাম্প হাত ধরাধরি করে হাঁটছেন।ট্রাম্পের নির্বাচনী বিজ্ঞাপনে মোদীর বক্তৃতার আরও অংশ আছে।
২০১৯ সালে নির্বাচনের বেশ কিছুদিন আগে যুক্তরাষ্ট্রে জনপ্রিয়তা প্রমাণ করতে গিয়েছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। যুক্তরাষ্ট্রের হিউস্টনে বিশাল সমাবেশ করেছিলেন মোদী। সেখানে প্রায় ৫০ হাজার ভারতীয়-মার্কিনের উপস্থিতিতে 'হাউডি মোদী' শো হয়েছিল। সেখানে উপস্থিত ছিলেন ট্রাম্পও।
বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, ভারতীয়-মার্কিন এবং চীনা-মার্কিনদের ভোট যুক্তরাষ্ট্রের ভোটের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। ট্রাম্প বুঝতে পারছেন, করোনাকালে যে ভাবে তিনি চীনকে আক্রমণ করেছেন তাতে চীনা-মার্কিনিদের ভোট তার দিকে যাবে না। ফলে ভারতীয়-মার্কিনিদের ভোট তার প্রয়োজন।
অন্য দিকে ডেমোক্র্যাটরাও ভারতীয়-মার্কিনদের ভোটের প্রয়োজন বুঝতে পারছেন। এবং সে কারণেই গুরুত্বপূর্ণ সময়ে কমলা হ্যারিসকে ভাইস প্রেসিডেন্টের পদপ্রার্থী হিসেবে তুলে আনা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত তার প্রতিটি বক্তৃতায় কমলা তার ভারতীয় এবং আফ্রিকান অতীত তুলে ধরছেন।
বিশেষজ্ঞদের অনেকেই মনে করছেন কমলা হ্যারিস ডেমোক্র্যাটদের ট্রাম্প কার্ড। ট্রাম্প ডেমোক্র্যাটদের এই চালে দৃশ্যত খানিকটা অপ্রস্তুত হয়ে পড়েছেন। ফলে প্রথমে কমলা হ্যারিসকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করার চেষ্টা করেছেন। এ বার মোদীকে নামিয়ে দিয়েছেন হ্যারিসের বিকল্প হিসেবে।
নির্বাচনের আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট শেষ বিদেশ সফর করেছেন ভারতে। ভারতের আমেদাবাদ ট্রাম্পের সংবর্ধনা সভার আয়োজন করেছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদী। সূত্র : ডয়েচে ভেলে
আগামীনিউজ/এসপি