ঢাকা : যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় ধ্বংসাত্মক দাবানলে এক সপ্তাহে প্রায় দশ লাখ একর জমি পুড়ে গেছে এবং শত শত বাড়িঘর ধ্বংস হয়েছে। রাজ্যটির আবহাওয়া বার্তায় জানানো হয়েছে, এ সপ্তাহে আগুন আরও ছড়িয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে এবং দমকল বাহিনী হুমকিতে পড়বে বলে সতর্ক করেছে। সান ফ্রান্সিসকো বে এরিয়াতে সাম্প্রতিক সময়ের দ্বিতীয় এবং তৃতীয় বৃহত্তম দাবানলের রেকর্ড ভেঙে এটি ক্যালিফোর্নিয়ার ইতিহাসে অন্যতম বড় আগুনের ঘটনা।
গতকাল শনিবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বড় বিপর্যয়ের ঘোষণা জারি করে কেন্দ্রীয় প্রশাসনকে সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
গত রাতে হালকা বাতাস, শীতল এবং আর্দ্র আবহাওয়া দমকল কর্মীদের আগুন নেভাতে কিছুটা অগ্রগতি দেখা দিলেও উষ্ণ ও শুকনো আবহাওয়া, প্রবল বাতাসের ঝাঁকুনি এবং বজ্রপাতে তাদের সেসব প্রচেষ্টা ব্যহত হচ্ছে বলে দমকল কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
এদিকে ভয়াবহ দাবানল নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য অস্ট্রেলিয়া ও কানাডার সহযোগিতা চেয়েছেন ক্যারিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যটির গভর্নর গ্যাভিন নিউসম। শুক্রবার দাবানল পরিস্থিতির ভয়াবহতা তুলে ধরে তিনি বলেছেন, ‘এই আগুন আমাদের সম্পদ ও কর্মকর্তাদের শেষ করে দিচ্ছে।’
জানা যায়, ক্যালিফোর্নিয়ায় বিশ্বরেকর্ড গড়া তাপদাহের মধ্যে ১২ হাজারের বেশি বজ্রপাত থেকে এ দাবানলের সূত্রপাত হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। কয়েকশ’ অগ্নিকাণ্ডের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ অবস্থা চলছে সান ফ্রান্সিসকোর দক্ষিণ ও পূর্বের পাহাড়ি এলাকাগুলোতে।
জরুরি পরিষেবা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বেশ কয়েকটি অগ্নিকাণ্ড মাত্র একদিনের ব্যবধানেই দ্বিগুণ আকার ধারণ করেছে। এতে অন্তত ১ লাখ ৭৫ হাজার মানুষ ঘরবাড়ি ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন। সপ্তাহব্যাপী দাবানলে দমকলকর্মীসহ অন্তত ৪৩ জন আহত হয়েছেন, মারা গেছেন কমপক্ষে ছয়জন। আগুনে ভস্মিভূত হয়ে গেছে শত শত ঘরবাড়ি, হুমকিতে পড়েছে আরও কয়েক হাজার।
ক্যালিফোর্নিয়ার দাবানল মোকাবিলায় ওরেগন, নিউ মেক্সিকো, টেক্সাসের মতো অঙ্গরাজ্যগুলোতে থেকে দমকলকর্মী, পর্যবেক্ষণ প্লেন, গাড়ি পাঠানো হচ্ছে।
এরছাড়াও অস্ট্রেলিয়া থেকে ‘বিশ্বসেরা দাবানল মোকাবিলা বাহিনী’ পাঠানোর অনুরোধ জানিয়েছেন গভর্নর নিউসম। সূত্র : ইয়ন
আগামীনিউজ/এসপি