লুয়ান্ডায় ব্রাজিলভিত্তিক চার্চগুলো বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে সরকার

আন্তর্জাতিক নিউজ ডেস্ক আগস্ট ১৬, ২০২০, ১১:৩৪ পিএম
ছবি : সংগৃহীত

ঢাকা : আফ্রিকার দেশ অ্যাঙ্গোলার রাজধানী লুয়ান্ডায় অবস্থিত ব্রাজিলের সবচেয়ে বড় ‘ইউনিভার্সাল চার্চ অব দ্য কিংডম অব গড’ (ইউসিকেজি) এর আওতাধীন উপাসনালয়ের অন্তত সাতটি ভবন বাজেয়াপ্ত বা দখল নিয়েছে সরকার।

শুক্রবার অ্যাঙ্গোলার প্রসিকিউটর জেনারেল আলভারো দ্য সিলভা জোয়াও ইউসিকেজির বাজেয়াপ্তের ঘোষণা দেন।

তিনি এক বিবৃতিতে বলেছেন, এসব উপাসনালয়ে অপরাধী সমিতি, কর জালিয়াতি, মূলধনের অবৈধ রফতানি, ধর্মীয় বিশ্বাসের অপব্যবহার এবং অন্যান্য অবৈধ কাজকর্মের যথেষ্ট ইঙ্গিত রয়েছে। 

উল্লেখ্য, গত বছর ডিসেম্বর মাসে অ্যাঙ্গোলান কর্তৃপক্ষ এই উপাসনালয়গুলোর দুর্নীতি তদন্ত শুরু করে।

প্রসিকিউটররা বলছেন, ধর্মপ্রচারকরা চার্চকে কেন্দ্র করে ট্যাক্স ফাঁকি, দুর্নীতি এবং নানা কৌশলে অর্থ হাতিয়ে নেয়ার অপরাধে জড়িত। 

তবে ইউসিকেজির কর্মকর্তারা তাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলোকে বরাবরই অস্বীকার করে আসছেন।

এর আগে গত বছর প্রায় ৩শ’ অ্যাঙ্গোলান বিশপরা ব্রাজিলিয়ান নেতৃত্বে পরিচালিত চার্চ থেকে ইউসিকেজির অব্যবস্থাপনার অভিযোগ তুলে সেখান থেকে বেরিয়ে যান। এ প্রেক্ষিতে ইউসিকেজির কর্মকর্তারা বিষয়টিকে ‘মানহানিকর’ বলে বর্ণনা করেছেন।

ইউসিকেজি মূলত ব্রাজিলভিত্তিক সবচেয়ে বড় ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান এবং এর অনুসারীদের সংখ্যা প্রায় ৮০ লাখ। আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে এর শাখা রয়েছে। উপাসনালয়গুলোতে ‘সমৃদ্ধি ধর্মতত্ত্ব’ প্রচার করে, যার মাধ্যমে বিশ্বাসীদের কাছ থেকে বৈষয়িক আয় উন্নতির নামে ডোনেশন বা অর্থ সংগ্রহ করে।

দাতারা বিশ্বাস করে গির্জার অনুদানের ফলে তাদের বৈষয়িক সম্পদ বৃদ্ধি পাবে। সূত্র : বিবিসি

 

আগামীনিউজ/এসপি