পুতিনের ঘোষণার পরই ১শ’ কোটি ডোজ ভ্যাকসিনের অর্ডার পেয়েছে রাশিয়া

আন্তর্জাতিক নিউজ ডেস্ক আগস্ট ১২, ২০২০, ১২:৩৯ পিএম
ছবি : সংগৃহীত

ঢাকা : কোভিড-১৯ মহামারীতে বিপর্যস্ত সারা বিশ্ব। ভাইরাসটি মোকাবিলায় বিশ্বের বড় বড় চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা ভ্যাকসিন আবিস্কারে হিমশিম খাচ্ছে, তখন প্রথম ভ্যাকসিন আবিষ্কারের দাবি করল রাশিয়া। কোভিড-১৯ এখন পর্যন্ত বিশ্বে ২ কোটি ৫ লাখের বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন এবং মারা যাওয়ার সংখ্যা ৭ লাখ ৪৫ হাজার ছাড়িয়েছে।

রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে করোনার ভ্যাকসিন তৈরি করছে গ্যামেলিয়া রিসার্চ ইনস্টিটিউট অব এপিডেমোলজি অ্যান্ড মাইক্রোবায়োলজি। তাদের ভ্যাকসিনটির নাম রেখেছে ‘স্পুটনিক-৫’! 

রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন গতকাল মঙ্গলবার ভ্যাকসিন আবিষ্কারে সাফল্যের ঘোষণা দেয়ার পরই ২০টি দেশ তাদের ভ্যাকসিনের আগাম ক্রয়াদেশ দিয়েছে। যার পরিমাণ এক বিলিয়ন অর্থাৎ ১০০ কোটি ডোজ। ক্রয়াদেশ পাঠানো দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে লাতিন আমেরিকা, মধ্যপ্রাচ্য ও এশিয়ার কয়েকটি দেশ।

পুতিন আরও জানান, তার কন্যা এ ভ্যাকসিন নিয়েছেন এবং সে ভাল বোধ করছেন।

ভ্যাকসিনে বিনিয়োগ করা সরকারি সংস্থা রাশিয়ান ডাইরেক্ট ইনভেস্টমেন্ট ফান্ডের প্রধান কিরিল দিমিত্রিয়েভ জানিয়েছেন, গ্যামেলেয়া ইনস্টিটিউটের তৈরি এই ভ্যাকসিন নিয়ে বিশ্বের অনেক দেশই আগ্রহ দেখিয়েছে। 

তিনি আরও বলেন, মোট পাঁচটি দেশে এই ভ্যাকসিন তৈরি হবে। আর সব মিলিয়ে বছরে ৫০ কোটি ডোজ উৎপাদন হবে।

মস্কোর গামালেয়া ইনস্টিটিউটের এই ভ্যাকসিনের নাম গাম-কোভিড-ভ্যাক লিও। তৃতীয় পর্যায়ের পরীক্ষা না করেই রাশিয়া কীভাবে এই ভ্যাকসিন দেশের জনগণের জন্য উন্মুক্ত করছে, তা নিয়ে একাধিক প্রশ্ন উঠেছিল। 

প্রেসিডেন্ট পুতিন তার স্বাস্থ্যমন্ত্রী মিখাইল মুরাস্কোকে ভ্যাকসিনটির কার্যকারিতা সম্পর্কে পুঙ্খানুপুঙ্খ আপডেট দিতে বলেছেন। একই সঙ্গে পুতিন আত্মবিশ্বাসী, প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলতে এই ভ্যাকসিনের ক্ষমতা প্রশ্নাতীত। এই ভ্যাকসিন প্রস্তুতের সঙ্গে জড়িত সব কর্মীদেরও ধন্যবাদ জানান পুতিন। সূত্র : এএফপি

 

আগামীনিউজ/এসপি