ঢাকা : লাদাখ সীমান্তে ভারত ও চীনা সেনাদের মধ্যে রক্তাক্ত সংঘর্ষের এক মাস পর প্রথমবারের মতো মঙ্গলবার আনুষ্ঠানিকভাবে ভারতের দাবি অস্বীকার করেছে চীন।
চীন বলছে, সংঘর্ষে ভারতীয় কোনও সেনা মরেনি বা সেখানে কোনও কবর নেই।
অথচ প্রথম থেকেই ভারত বলে আসছে ওই সংঘর্ষে কর্নেলসহ ২০ ভারতীয় সেনার মৃত্যু হয়েছে, পাশাপাশি কমান্ডিং অফিসার ও সহকারি কমান্ডিং অফিসারসহ নিহত হয়েছে ৪৩ চীনা সেনা।
তবে যুক্তরাষ্ট্রের একটি গোয়েন্দা সংস্থার বরাতে ভারত দাবি করেছে, নিহত কর্মকর্তাদের পরিবারের চাপের মুখে পড়েছে চীন। তারা লাশ, অন্ততপক্ষে কবরের সন্ধান চায়। ভারতের দাবি, এই সেনাদের গালওয়ানেই কবরস্থ করা হয়েছে। কিন্তু এই দাবির পক্ষে কোনও প্রমাণ হাজির করতে পারেনি তারা।
উল্লেখ্য, ১৪ হাজার ফুট উচ্চতায় গলওয়ান উপত্যকায় ভারত ও চীনের সেনাদের মধ্যে গত ১৫ জুন রাতে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
ভারতের অভিযোগ, গলওয়ানে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা পেরিয়ে কয়েক কিলোমিটার ভারতীয় জমিতে এসে চীনা ফৌজ একাধিক ছাউনি গড়ে তোলে। খবর পেয়ে তাদেরই মুখোমুখি হয় ভারতীয় সেনা।
ভারত-চীন সীমান্তের দৈর্ঘ্য প্রায় সাড়ে তিন হাজার কিলোমিটার। দীর্ঘ এই সীমান্তে কাশ্মীরের লাদাখ ও অরুণাচল প্রদেশের কিছু এলাকা মাঝে মাঝেই উত্তপ্ত হয়। লাদাখের গলওয়ান এমনই এক বিতর্কিত অঞ্চল। মে মাসের শুরুতে এই এলাকার গলওয়ান উপত্যকা, প্যাংগং লেক ও সিকিমের নাকু লায় দুই দেশের বাহিনীর মধ্যে উত্তেজনা ছড়ায়।
ভারত ও চীনের সীমান্তবিরোধ সময়ে সময়ে তীব্র হলেও দীর্ঘ সাড়ে চার দশকে কোনো পক্ষে প্রাণহানির কোনো ঘটনা ঘটেনি। ১৯৭৫ সালে অরুণাচল প্রদেশের টুলুং লায় শেষবার মৃত্যু হয়েছিল চার ভারতীয় টহলদারি সেনার। তারপর এবার লাদাখে। ওই ঘটনায় দেশ দুটির সামরিক ও কূটনৈতিক দিক থেকে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ও উদ্বেগজনক। সূত্র : ইন্ডিয়া টুডে, এনডিটিভি
আগামীনিউজ/এসপি