সিরিয়ার বিরুদ্ধে সামরিক পদক্ষেপ নেয়ার হুমকি দিয়েছে আমেরিকা। ওয়াশিংটন হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছে, ইদলিবে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘিত হলে আমেরিকা ও তার ইউরোপীয় মিত্ররা প্রতিক্রিয়া দেখাবে।
মার্কিন প্রেসিডেন্টের সিরিয়া বিষয়ক বিশেষ প্রতিনিধি জেমস জেফরি মঙ্গলবার ব্রাসেলসে ন্যাটো জোটের সদরদপ্তরে সাংবাদিকদের বলেন, তুরস্কের সমর্থনে ইদলিবে পদাতিক বাহিনী পাঠাবে না ন্যাটো, তবে প্রয়োজনে বিমান সহযোগিতা দেয়া হবে। জেফরি দাবি করেন, সিরিয়া ও রাশিয়া ইদলিবে যুদ্ধবিরতি বলবৎ রাখতে চায় না।
মার্কিন এই বিশেষ প্রতিনিধি বলেন, সিরিয়া ও রাশিয়া যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করতে চাইলে আমেরিকা তার মিত্রদের নিয়ে যেসব ব্যবস্থা নিতে পারে তার একটি হচ্ছে, দামেস্ক ও মস্কোর বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোগান গত সপ্তাহে সিরিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় ইদলিব প্রদেশে যুদ্ধবিরিত প্রতিষ্ঠা করতে সম্মত হন। দুই প্রেসিডেন্টের মধ্যে অনুষ্ঠিত সমঝোতায় বলা হয়েছে, ইদলিব প্রদেশে যুদ্ধবিরতি তদারকি করার জন্য যৌথ পরিদর্শক দল কাজ করবে।
সিরিয়ায় ২০১১ সালের মার্চ মাসে পশ্চিমা ও আরব দেশগুলো কয়েকটি সন্ত্রাসী গোষ্ঠীকে লেলিয়ে দেয়। এর ফলে দেশটিতে সৃষ্ট সহিংসতায় এ পর্যন্ত লাখ লাখ মানুষ নিহত ও কয়েক মিলিয়ন মানুষ শরণার্থীতে পরিণত হয়েছে।
সাম্প্রতিক সময়ে সিরিয়া থেকে সন্ত্রাসীদের উৎখাতের ক্ষেত্রে ব্যাপক সাফল্য দেখিয়েছে দেশটির সেনাবাহিনী। ইদলিব হচ্ছে দেশটিতে তৎপর সন্ত্রাসীদের সর্বশেষ আস্তানা। সিরিয়ার সেনাবাহিনী সম্প্রতি সেই ইদলিব প্রদেশ থেকে সন্ত্রাসীদের উৎখাতের জন্য সাড়াশি অভিযান শুরু করার পর সেখানে তুরস্কসহ পশ্চিমা দেশগুলো হস্তক্ষেপ করতে শুরু করে।
আগামীনিউজ/মাসুম