ঢাকা : আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহার শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র। সম্প্রতি সই হওয়া মার্কিন-তালেবান চুক্তির অংশ হিসেবেই এই সেনা প্রত্যাহার করা হচ্ছে। খবর আলজাজিরার।
সোমবার (৯ মার্চ) সেনা প্রত্যাহার শুরুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আফগানিস্তানে মোতায়েন মার্কিন সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র কর্নেল সনি লেগেট।
মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের মাধ্যমে দেশটিতে শান্তি ফিরে আসার কথা থাকলেও রাজনৈতিক গোলযোগ আরো বেড়েছে। এ দিনই দেশটির দুই প্রতিদ্বন্দ্বী রাজনৈতিক নেতা আশরাফ গণি এবং আব্দুল্লাহ প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিয়েছেন। দুই প্রেসিডেন্টের দেশে আরো নতুন গোলযোগ বেঁধে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন বিশ্লেষকরা।
কর্নেল সনি লেগেট জানান, বর্তমানে আফগানিস্তানে যে সেনা মোতায়েন রয়েছে তা কমিয়ে ৮৬০০-তে নামিয়ে আনা হবে।
তবে আফগানিস্তানে রাজনৈতিক অস্থিরতা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো মাথাব্যথা নেই।
মার্কিন সামরিক বাহিনীর বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আফগানিস্তানের রাজনৈতিক সঙ্কট আছে কি নেই, কাবুলে প্রেসিডেন্ট একজন নাকি দু জন সেগুলো নিয়ে আমেরিকা সময় নষ্ট করবে না। আগামী ১৩৫ দিনের মধ্যে সেনা সংখ্যা কমিয়ে ৮৬০০ জনে নামিয়ে আনা হবে।
সম্প্রতি, কাতারের রাজধানী দোহায় যুক্তরাষ্ট্র ও তালেবানের মধ্যে একটি চুক্তি হয়েছে। ওই চুক্তি অনুযায়ী, আফগানিস্তান থেকে সব সেনা প্রত্যাহার করবে যুক্তরাষ্ট্র। চুক্তিটি কার্যকর হলে দেশটিতে ১৯ বছরের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের অবসান হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
কিন্তু একইসঙ্গে দুই নেতার প্রেসিডেন্ট হিসেবে আলাদাভাবে শপথ নেয়ার ঘটনা অশনি সঙ্কেত হিসেবে দেখা হচ্ছে।
আগামীনিউজ/হাসি