ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মাদ জাওয়াদ জারিফ বলেছেন, আমেরিকার পরিপূর্ণ আত্মসমর্পনের মধ্যদিয়ে আফগানিস্তানে মার্কিন দখলদারিত্বের অবসান ঘটেছে। কাতারে আফগান তালেবানের সঙ্গে ওয়াশিংটনের স্বাক্ষরিত শান্তি চুক্তি সম্পর্কে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে জারিফ গতরাতে এক টুইটার বার্তায় এ মন্তব্য করেন।
বার্তায় তিনি বলেন, ‘মার্কিন আগ্রাসনকারীদের আফগানিস্তানে আগ্রাসন চালানোই ঠিক হয়নি। কিন্তু তারা চালিয়েছে এবং আগ্রাসনের ফলে সৃষ্ট দুর্দশার দায় অন্যদের ওপর চাপিয়েছে। শেষ পর্যন্ত ১৯ বছরের দুর্দশা ও যন্ত্রণা শেষে ওয়াশিংটন আত্মসমর্পনের দলিলে স্বাক্ষর করেছে। প্রকৃতপক্ষে আফগানিস্তান হোক, সিরিয়া, ইরাক কিংবা ইয়েমেন সবখানেই একমাত্র সমস্যা আমেরিকা। শেষ পর্যন্ত মার্কিনীরা এ অঞ্চল ত্যাগ করবে ঠিকই কিন্তু পেছনে রেখে যাবে বিশাল এক ধ্বংসযজ্ঞ।’
প্রায় এক বছরের আলোচনা শেষে শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) কাতারে শান্তি চুক্তিতে সই করে তালেবান ও আমেরিকা।
২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর আমেরিকার নিউ ইয়র্ক শহরের বিশ্ব বাণিজ্য কেন্দ্রে সন্ত্রাসী হামলা হয়। মার্কিন সরকার ওই হামলার জন্য আফগানিস্তানের তালেবানকে দায়ি করে দেশটিতে সামরিক আগ্রাসন চালায়। ব্রিটিশ বাহিনীকে সঙ্গে নিয়ে চালানো ওই হামলায় কয়েকদিনের মধ্যেই তৎকালীন তালেবান সরকারের পতন হলেও ইঙ্গো-মার্কিন বাহিনী গোটা আফগানিস্তানের দখল নিতে পারেনি।
তালেবান ক্ষমতা হারানোর পর বিদেশি সেনাদের কবল থেকে আফগানিস্তানকে মুক্ত করার লক্ষ্যে সশস্ত্র প্রতিরোধ চালিয়ে যায়। শেষ পর্যন্ত তালেবানের কাছে একরকম পরাজয় স্বীকার করেই তাদের সঙ্গে শান্তি চুক্তিতে সই করল আমেরিকা।
আগামীনিউজ/হাসি