দিল্লিতে নামাজরত মুসলমানদের নিরাপত্তায় হিন্দুরা

আর্ন্তজাতিক ডেস্ক ফেব্রুয়ারি ২৯, ২০২০, ০৬:০৪ পিএম

ভারতের রাজধানী দিল্লিতে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (সিএএ) নিয়ে শুরু হওয়া সংঘর্ষ রূপ নেয় সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায়। সহিংসতা চলাকালে পুড়িয়ে দেয়া হয় বাড়িঘর, দোকানপাট ও যানবাহন। ভাংচুর করা হয় মসজিদ, মাদ্রাসা ও স্কুল।

টানা কয়েকদিন উত্তেজনাকর পরিস্থিতির পর এখন দিল্লিতে অপেক্ষাকৃত শান্ত পরিবেশ বিরাজ করেছে। স্থানীয় মসজিদগুলোয় শান্তির আহ্বান জানানো হয়েছে।

এ অবস্থায় সহিংস নয়াদিল্লিতে সশস্ত্র প্রহরার মধ্য দিয়ে জুমার নামাজ আদায় করেছেন সেখানকার মুসল্লিরা। ২৮ ফেব্রুয়ারি (শুক্রবার) নয়াদিল্লির উত্তর-পূর্বাঞ্চলের কয়েকটি মসজিদে হিন্দুদের তৈরি মানব ঢালের মধ্যে জুমার নামাজ আদায় করেন তারা।

দিল্লির রাস্তায় শুক্রবার অস্ত্র হাতে আধাসামরিক পুলিশকে টহল দিতে দেখা গেছে। বর্তমানে পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হলেও রাস্তাঘাটে কাঁচের ভাঙ্গা টুকরা, ভাঙ্গা পাথর এবং অন্যান্য ধ্বংসাবশেষ পড়ে ছিল। মুস্তফাবাদ এলাকার প্রধান মসজিদের বাইরে ডজনখানেক হিন্দু স্বেছাসেবী  দাঁড়িয়ে পাহারা দিচ্ছিল। দিল্লির যেসব এলাকায় ভয়াবহ সাম্প্রদায়িক সহিংসতা হয়েছিল এটি তার অন্যতম।

নামাজের পর দ্রুত ওই এলাকা ছেড়ে যাওয়ার জন্য মুসল্লিদের তাগাদা দিতে দেখা গেছে স্বেচ্ছাসেবীদের। মসজিদের ইমাম মুসল্লিদের শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘এখন পরীক্ষার সময়। এসময় আমাদের ধৈর্য্য ধরে থাকতে হবে।’

সাম্প্রতিক এই সহিংসতার সময় হিন্দু দাঙ্গাকারীরা দিল্লির বেশ কয়েকটি মসজিদে আগুন লাগিয়ে দিয়েছিল।সামাজিক যোগাযোগমাধ্য ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে অশোক নগরের একটি মসজিদের মিনারে হিন্দুত্ববাদীদের গেরুয়া পতাকা টাঙ্গিয়ে দিতে দেখা গেছে।

নতুন করে যাতে সহিংসতার সৃষ্টি না হয় সেজন্য পুলিশ মুসল্লিদের দ্রুত এলাকা ছেড়ে যাওয়ার তাগাদা দিলে সালিম মির্জা নামে একজন বলেন, ‘আমরা সহিংসতা  চাই না। আমরা শান্তিতে থাকতে চাই, আমাদের সন্তানদের জন্য কাজ করতে চাই এবং স্বাভাবিক একটি জীবন যাপন করতে চাই। আজকে আমরা সবাই শান্তির জন্য দোয়া করেছি।’


আগামীনিউজ/মামুন