আজ দুই দিনের সফরে ভারতে আসছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এই সফরে বড় কোনো বাণিজ্য চুক্তি হচ্ছে না বলে আগেই জানিয়েছে ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র। সফরের কয়েক ঘণ্টা আগে বাণিজ্য চুক্তি না হওয়ার জন্য দিল্লিকে দোষছে ওয়াশিংটন। মনে করা হচ্ছে, ভারত সফরে এসে মোদিকে ধর্মীয় স্বাধীনতার কথা বলবেন ট্রাম্প এবং আফগানিস্তান নিয়ে নিজেদের উদ্বেগের কথা ট্রাম্পকে জানাবে ভারত।
ট্রাম্পের ভারত সফরের কয়েক ঘণ্টা আগে এক মার্কিন কর্মকর্তা বলেন, ‘সব ধর্মকে সমান সম্মান দেয়ার বিষয়টি ভারতের সংবিধানের অন্তর্গত। গোটা বিশ্ব এ ব্যাপারে ভারতের দিকে তাকিয়ে আছে।’
সিএএ, এনআরসির প্রতিবাদে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত যখন উত্তাল, তখন আন্তর্জাতিক মানচিত্রে ভাবমূর্তি অক্ষুণ্ণ রাখার চেষ্টায় মরিয়া দিল্লি। কূটনীতিকদের মতে, এত ধুমধাম করে মার্কিন প্রেসিডেন্টকে নিয়ে আসার পরে যদি ফের ঝুলি থেকে বিড়াল বেরিয়ে পড়ে, তা সম্যক বিড়ম্বনার কারণ হবে মোদি সরকারের কাছে।
ওয়াশিংটনে সাংবাদিক বৈঠকের গোড়াতেই ওই মার্কিন কর্মকর্তা বলেন, ‘গত বছর নির্বাচনের পর প্রথম বক্তৃতাতেই প্রধানমন্ত্রী মোদি জানিয়েছিলেন, ভারতের ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে আরো বেশি করে মূল স্রোতে নিয়ে আসাটাই তার অগ্রাধিকার। গোটা বিশ্বই এখন ভারতের দিকে তাকিয়ে রয়েছে, যাতে তারা আইন অনুযায়ী সবাইকে সমানভাবে দেখে এবং ধর্মীয় স্বাধীনতা অক্ষুণ্ণ রাখে।’
তিনি বলেন,‘আমার ধারণা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তার প্রকাশ্য সমাবেশে এবং প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে গণতন্ত্রের ঐতিহ্য ও ধর্মীয় স্বাধীনতার প্রসঙ্গ তুলবেন। বিশেষ করে ধর্মীয় স্বাধীনতার বিষয়টি তিনি তুলবেনই। ধর্মীয় স্বাধীনতা রক্ষা, সব ধর্মের মানুষকে সমানভাবে সম্মান করার বিষয়গুলি ভারতের সংবিধানেই আছে। এগুলি অবশ্যই প্রেসিডেন্টের সফরে উঠবে।’
অপরদিকে আফগানিস্তানে তালেবান-মার্কিন চুক্তির ইস্যুতে পাকিস্তানের প্রভাব ও ভারতের করণীয় তুলে ধরবেন মোদি। এই দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের সুযোগকে কাজে লাগিয়ে, পাকিস্তান-তালিবান যোগসূত্র তুলে ধরে ভারতের উদ্বেগ জানানো হবে। এরপরে আমেরিকার কাবুল-নীতি কোন পথে এগোবে বুঝে নেয়ার চেষ্টা হবে। সেদেশ থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের সময়সীমা এবং পরিকল্পনাও খুঁটিয়ে জানতে চাইবে নয়াদিল্লি।
আগামীনিউজ/হাসি