দিল্লির বিধানসভা নির্বাচন শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি)। বর্তমানে রাজ্যের মসনদে রয়েছে ক্ষমতাসীন আম আদমি পার্টি (এএপি)। তবে দলটির কাছ থেকে ক্ষমতা নিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন বিজেপি।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আর তার ‘ডানহাত’ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহসহ দলটির শীর্ষ নেতারা ব্যাপক প্রচার চালিয়েছেন। কিন্তু ওই নির্বাচন নিয়ে করা এক সমীক্ষা বলছে ভিন্নকথা।
দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনের আগে এবিপি নিউজ-সি ভোটারের শেষ জনমত সমীক্ষা অনুযায়ী বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী (এএপি) অরবিন্দ কেজরিওয়ালেই আস্থা দিল্লির। ২৬ জানুয়ারি থেকে ৬ ফেব্রুয়ারি দিল্লির ৭০টি বিধানসভার ১ হাজার ১৮৮ ভোটারের মতামত নিয়ে করা সমীক্ষার ফল বলছে, ফের অনায়াসে জয়ী হবে কেজরিওয়ালের দল।
তবে গত নির্বাচনের চেয়ে এবার আসন সংখ্যা বাড়বে কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন বিজেপির। গত ভোটে এএপি ৬৭ ও বিজেপি তিন আসনে জয় পেয়েছিল। কংগ্রেস ছিল শূন্য। এবারের ভোটে শতকরা হিসাবে কেজরিওয়ালের এএপি পেতে পারে ৪৫ দশমিক ৬ শতাংশ ভোট। এছাড়া বিজেপি ৩৭ দশমিক ১ এবং কংগ্রেস ৪ দশমিক ৪ শতাংশ ভোট পেতে পারে।
কিন্তু বিগত লোকসভা নির্বাচনে দিল্লির ৭ আসনেই জয় পায় বিজেপি। অমিত শাহ বলছেন, ‘কেজরিওয়াল একবার ফাঁকতালে জিতে গেছেন। কিন্তু বাকি সব নির্বাচনে তার দল হেরেছে।’ এদিকে কেজরিওয়াল বলছেন, ‘লোকসভায় নরেন্দ্র মোদির দলকে ভোট দিলেও, বিধানসভায় কেজরিওয়ালের দলকেই ভোট দেবে দিল্লির জনতা।’
তবে সমীক্ষা নিয়ে কেজরিওয়ালের মত, ‘আপের আসন আরও বাড়বে। মানুষ আপকে জেতানোর মন তৈরি করে ফেলেছেন।’ অবশ্য বিজেপির মীনাক্ষী লেখির দাবি, ‘তার দল এবার ৪৫ আসনে জয় পাবে।’ কিন্তু বিজেপিও আঁচ করতে পারছে, দিল্লির নির্বাচনের হাওয়া কেজরিওয়ালের পক্ষেই। তাই কোমর বেধে প্রচারে নেমেছে দলটি।
নির্বাচনের প্রচার চালাতে দিল্লিতে মাটি কামড়ে পড়ে আছেন অমিত শাহ। এছাড়া আড়াই শতাধিক এমপি, দেড় শতাধিক নেতা আর অর্ধশতাধিক মন্ত্রীকে নির্বাচনী মাঠে নামিয়ে দিয়েছে বিজেপি। নির্বাচনী প্রচারণার শেষদিন গতকাল বৃহস্পতিবার ব্যাপক প্রচার চালিয়েছে তারা। এখন শুধু ভোটের অপেক্ষা। আগামীকালই সেই ভোট।
আগামীনিউজ/মামুন