করোনাভাইরাসের ক্রমবর্ধমান হুমকির মুখে বৈশ্বিক জরুরি (গ্লোবাল ইমার্জেন্সি) অবস্থা ঘোষণা করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও বা হু)।
গতকাল স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) রাতে সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় ডব্লিউএইচওর মহাপরিচালক অ্যাডানোম গ্রেবিয়াসিস এক সংবাদ সম্মেলনে বৈশ্বিক এ জরুরি অবস্থার ঘোষণা দেন।
এর এক সপ্তাহ আগেও ‘গ্লোবাল ইমার্জেন্সি’ ঘোষণা করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিল হু। তবে এবার বাস্তবেই এ রোগকে সারা বিশ্বের জন্য হুমকি হিসেবে দেখছে সংস্থাটি।
জরুরি অবস্থার ঘোষণায় অ্যাডানোম গ্রেবিয়াসিস বলেন, এ ঘোষণার মাধ্যমে দুর্বল স্বাস্থ্যসেবার দেশগুলোকে সুরক্ষা দেয়া এবং তাদের জন্য প্রস্তুতি নেয়া হবে।
এ রোগটিতে নতুন করে চীনে হাজার হাজার মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে এবং যুক্তরাষ্ট্রসহ বেশ কয়েকটি দেশে একজন থেকে অন্যজনের শরীরে এই রোগ ছড়িয়ে পড়ছে। এ বিষয়টি উল্লেখ করে ডব্লিউএইচওর মহাপরিচালক বলেন, আমরা এই বিষয়ে স্পষ্ট উদাহরণ দেখেছি। ফলে সবকিছু পর্যালোচনা করে সংস্থাটির বিশেষজ্ঞ কমিটি জরুরি অবস্থা ঘোষণা করছে।
শুধু চীনের জন্য হুমকি নয়, সারা বিশ্বের জন্য হুমকি তৈরি করায় এ জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে জানিয়ে অ্যাডানোম গ্রেবিয়াসিস বলেন, চীনে যা ঘটছে এই কারণে নয়, বরং অন্য দেশে যা ঘটছে সেই কারণেই এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। উদ্বেগের বিষয় হলো দুর্বল স্বাস্থ্যব্যবস্থার দেশগুলোতে ছড়িয়ে পড়ছে ভাইরাসটি।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত সব মিলিয়ে চীনের মূল ভূখণ্ডে এ রোগে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২১৩ জনে। একইসঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে নতুন করে ভাইরাসটিতে আক্রান্তের সংখ্যাও, যা প্রায় নয় হাজার ছাড়িয়ে গেছে।
আগামীনিউজ/ হাসি