নেদারল্যান্ডসকে ইসরায়েলে যুদ্ধবিমানের যন্ত্রাংশ রফতানি বন্ধের নির্দেশ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০২৪, ১১:৪৬ এএম
এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান- ফাইল ফটো/সংগৃহীত

ঢাকাঃ নেদারল্যান্ডসের সরকারকে ইসরায়েলে এফ-৩৫ যুদ্ধবিমানের যন্ত্রাংশ রফতানি বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে দেশটির একটি আপিল আদালত। গাজা ভূখণ্ডে ইসরাইলের আক্রমণ নিয়ে উদ্বেগ জানিয়ে একাধিক মানবাধিকার গোষ্ঠীর দায়ের করা মামলার পর সোমবার এই রায় দেয় আদালত।

নেদারল্যান্ডসের আদালত বলেছে, 'এটা অনস্বীকার্য যে আন্তর্জাতিক মানবিক আইনকে গুরুতরভাবে লঙ্ঘন করতে রফতানিকৃত এফ-৩৫ যন্ত্রাংশ ব্যবহৃত হওয়ার স্পষ্ট ঝুঁকি রয়েছে।'

ডাচ আদালত বলেছে, সাত দিনের মধ্যে সরকারকে এই রায় কার্যকর করতে হবে। এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল করা যেতে পারে।

নেদারল্যান্ডসে যুক্তরাষ্ট্রের মালিকানাধীন এফ-৩৫ যুদ্ধবিমানের যন্ত্রাংশের গুদাম রয়েছে যা কয়েকটি দেশে রফতানি করা হয়।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে আলোচনা শেষে জর্ডানের রাজা দ্বিতীয় আব্দুল্লাহ গাজায় লড়াই শেষ করার জন্য পূর্ণ যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছেন। তবে রাজার সঙ্গে আলোচনায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতি চাননি বাইডেন। তিনি চান- ছয় সপ্তাহের যুদ্ধবিরতি। এছাড়া হামাসকে নির্মূল করতে ইসরায়েলকে সময় দিতে চায় যুক্তরাষ্ট্র। এদিকে গাজায় ইসরায়েলের হামলায় ২৪ ঘণ্টায় আরও ১৬৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। 

হোয়াইট হাউজে দ্বিতীয় আব্দুল্লাহকে পাশে নিয়ে বাইডেন বলেন, গাজার দক্ষিণে রাফা শহরে ইসরায়েল যে আক্রমণের প্রস্তুতি নিচ্ছে, তাতে যেন বেসামরিক মানুষদের অবশ্যই নিরাপত্তা দেওয়া হয়। অন্যদিকে, জর্ডানের রাজা যেকোনো অভিযানের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি দেন।

বাইডেন বলেন, যুক্তরাষ্ট্র গাজা ভূখণ্ডের যুদ্ধে অন্তত ছয় সপ্তাহের বিরতির জন্য আলোচনা চালাচ্ছে। এই সাময়িক বিরতি আরও বিস্তীর্ণ একটি সমঝোতার অংশ হিসেবে আলোচিত হচ্ছে, যার মধ্যে জিম্মিদের মুক্তির বিষয়টিও অন্তর্ভুক্ত থাকবে।

তবে জর্ডানের রাজা বলেন, ‘আমাদের এই মুহূর্তে দীর্ঘস্থায়ী যুদ্ধবিরতির প্রয়োজন। এই যুদ্ধের অবসান হতেই হবে।’

৭ অক্টোবর থেকে হামলায় এখন পর্যন্ত গাজায় নিহত হয়েছেন ২৮ হাজার ৩৪০ জন। আহতের সংখ্যা ৬৭ হাজার ৯৮৪ জন। ইসরায়েলের সামরিক অভিযান গাজাকে ব্যাপকভাবে বাস্তুচ্যুত, ধ্বংস এবং খাদ্য, পানি ও আশ্রয়ের ঘাটতির দিকে পরিচালিত করেছে।

আন্তর্জাতিক ক্ষোভ সত্ত্বেও ইসরায়েল গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর রাফায় স্থল আক্রমণের পরিকল্পনা করেছে। সেখানে এখন তারা বিমান হামলা চালাচ্ছে। সেখানে সীমিত জায়গার মধ্যে গাজার ২৩ লাখ মানুষের মধ্যে ১০ লাখের বেশি মানুষ কোনো না কোনো ধরনের আশ্রয় খুঁজে পেয়েছে।

এমআইসি/