স্কিনভিশন অ্যাপটি মূলত আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তিতে তৈরি। অ্যাপটি ফোন ক্যামেরার মাধ্যমে তিল বা দাগের ছবি নিয়ে বিশ্লেষণ করে ক্যানসার ঝুঁকির মাত্রা নির্ণয় করে।
২০১৮ সালে লিভারপুলের জেসন শেরিদনের বাঁ বাহুতে ২০১৮ সালে এক সেন্টিমিটার জায়গায় আঁচিল হয়। বছর খানেক পর আঁচিলটি গোলাপি হতে থাকে। এতে ভয় পেয়ে যান তিনি।
চলতি বছরের প্রথম সপ্তাহে তিনি মোবাইল থেকে স্কিনভিশন (ঝশরহঠরংরড়হ) অ্যাপ ডাউনলোড করলেন। তিনি দেখেন অ্যাপটি আঁচিল কিংবা তিলের সম্ভাব্য বিপজ্জনক পরিবর্তন শনাক্ত করতে পারে। অ্যাপে ‘হাই-রিস্ক’ সংকেত আসে। একই সঙ্গে ডাক্তার দেখানোর পরামর্শও পান অ্যাপটির মাধ্যমে।
শেরিদন ডেইলি মেইলকে বলেন, ‘ডাক্তারের কাছে গেলে আমাকে বলা হয় স্টেজ ১ এ মেলানোমা হয়েছে। ৪০ মিনিটের অস্ত্রোপচারের পর ক্যানসারমুক্ত জীবনযাপন করছি। আমি মনে করি স্কিনভিশনই আমার জীবন বাঁচিয়েছে। অ্যাপ ডাউনলোড না করলে দেরি করতে থাকতাম। তখন বাঁচতাম কি না কে জানে!’
প্রযুক্তি বিষয়ক ওয়েবসাইট জানিয়েছে, স্কিনভিশন স্কিন ক্যানসার শনাক্ত করতে দক্ষ। এটি ‘ডিপ লার্নিংয়ের’ মাধ্যমে ছবি বিশ্লেষণ করে। ছবিগুলো মেশিন লার্নিং অ্যালগরিদম হয়ে কনভোলশনাল নিউরাল নেটওয়ার্ক (সিএনএন) প্রযুক্তিতে যায়।
আগামীনিউজ/এমএন/এস