গ্রামীণফোনের প্রথম বাংলাদেশি সিইও ইয়াসির আজমান

নিজস্ব প্রতিবেদক জানুয়ারি ১৬, ২০২০, ০৭:২৩ পিএম

পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত দেশের সবচেয়ে বড় মোবাইল ফোন অপারেটর গ্রামীণফোনের নতুন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) হয়েছেন ইয়াসির আজমান। তিনিই এই পদে প্রথম বাংলাদেশি।

গ্রামীণফোনের পরিচালনা পর্ষদ ইয়াসির আজমানকে আগামী ১ ফেব্রয়ারি থেকে সিইও পদে নিয়োগ দিয়েছে বলে বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার পদে আসার আগে ইয়াসির আজমান ২০১৫ সালের জুন থেকে গ্রামীণফোনের সিএমও এবং ২০১৭ সালের মে মাস থেকে ডেপুটি সিইও ও সিএমও’র দায়িত্ব পালন করছেন।

এর আগে তিনি টেলিনর গ্রুপের বিতরণ ও ই-বিজনেস বিভাগের প্রধান এবং টেলিনরের হয়ে বিভিন্ন দেশে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন।

ইয়াসির আজমান গ্রামীণফোনের বর্তমান প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মাইকেল ফোলির স্থলাভিষিক্ত হবেন। মাইকেল ফোলি আফ্রিকায় তার পরিবারের কাছে ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘ইয়াসির আজমান গ্রামীণফোন এবং টেলিনর গ্রুপের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেই এই অবস্থানে এসেছেন।

গ্রামীণফোন পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান পেটার বি ফারবার্গ বলেন, ‘আমি অনেক আনন্দিত যে আজমান আমাদের বাংলাদেশি অপারেশনের নেতৃত্ব দিতে রাজি হয়েছেন। তিনি প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে গ্রামীণফোনের সিইও হচ্ছেন। এটি টেলিনর এবং গ্রামীণফোনের সকলের জন্য বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। গ্রামীণফোনের ডেপুটি সিইও এবং সিএমও হিসেবে আজমান টেলিনর গ্রুপের বাণিজ্যিকভাবে সফল অপারেশন পরিচালনা করে আসছেন। আমি বিশ্বাস করি আজমান সিইও হিসেবেও তার নতুন চ্যালেঞ্জে একইভাবে সফল হবেন।’

মাইকেল ফোলি ২০১৭ সালে মে মাস থেকে গ্রামীণফোনের সিইও হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের আগে টেলিনর পাকিস্তান ও বুলগেরিয়ার সিইও হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

ফারবার্গ আরও বলেন, ‘মাইকেলের নেতৃত্বে গ্রামীণফোন মজবুত অর্থনৈতিক ভিত্তি তৈরি করেছে এবং ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশনে গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি সম্পন্ন করেছে।’

সিইও হওয়ার বিষয়ে ইয়াসির আজমান বলেন, ‘গ্রামীণফোনের সিইও হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের প্রস্তাব পেয়ে আমি অনেক আনন্দিত এবং সম্মানিত বোধ করছি। ডিজিটাল বাংলাদেশ, সামাজিক ক্ষমতায়ন এবং আমাদের গ্রাহকদের জন্য যা গুরুত্বপূর্ণ তার সঙ্গে যোগাযোগ করিয়ে দিতে আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাসী। বাংলাদেশের অপার সম্ভাবনাকে পূর্ণরূপে বিকশিত করতে আমাদের এই সুদূরপ্রসারী লক্ষ্য অত্যন্ত কার্যকরী। আমি আমাদের ৭ কোটি ৫০ লাখ গ্রাহকের আস্থাকে সম্মান জানাই। একই সঙ্গে আমাদের উদ্ভাবনী প্রযুক্তি আর সেবার মাধ্যমে তাদেরকে আরও উন্নত সেবা দিয়ে যেতে চাই।’


আগামীনিউজ/এএম