ঢাকাঃ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) জানিয়েছে, গ্রাহকের প্যাকেজ শেষ হওয়ার পর অব্যবহৃত ডেটা পরবর্তী প্যাকেজের সঙ্গে যোগ হবে, তবে গ্রাহককে ওই প্যাকেজের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই একই ডেটা প্যাকেজ ক্রয় করে থাকেন। এ ক্ষেত্রে নতুন নিয়মটি হচ্ছে, ভিন্ন ভিন্ন মেয়াদ হলেও অব্যবহৃত ডেটা যোগ হবে। পূর্বে একই মেয়াদের প্যাকেজ ক্রয় করলেই অব্যবহৃত ডেটা যোগ হত।
আগামী বছরের মার্চের ১ তারিখ থেকে এই নির্দেশিকা কার্যকর হবে।
মঙ্গলবার (৯ নভেম্বর) এক অনুষ্ঠানে ‘মোবাইল ডেটা প্যাকেজ নির্দেশিকা’ নিয়ে এক উপস্থাপনায় এ তথ্য জানিয়েছে বিটিআরসি। এ সময় ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার, বিটিআরসির চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব মো. খলিলুর রহমান এবং মোবাইল অপারেটরদের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
বিটিআরসি ও মোবাইল অপারেটর সূত্র মতে, অব্যবহৃত ডেটা যোগ করতে হলে গ্রাহককে একই প্যাকেজ মেয়াদ শেষ হওয়ার পূর্বেই ক্রয় করতে হবে। যেমন ধরুণ, একজন গ্রাহক ১৫ দিন মেয়াদের ২ গিগাবাইটের কোনো প্যাকেজ ক্রয় করেছেন, সেক্ষেত্রে এ ১৫ দিন শেষ হওয়ার পূর্বেই তাকে আবার সেই ২ গিগাবাইটের প্যাকেজটি ক্রয় করতে হবে। তবে এ ক্ষেত্রে মেয়াদ ৩, ৭, ১৫ বা ৩০ হোক না কেন।
আগে প্যাকেজের হিসাব করা হত মেয়াদের উপর ভিত্তি করে।
এ বিষয়ে বিটিআরসি বলেছে, সর্বোচ্চ তিন ধরনের প্যাকেজ থাকবে মোবাইল অপারেটরদের। নিয়মিত প্যাকেজ, গ্রাহককেন্দ্রিক বিশেষ প্যাকেজ এবং রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট প্যাকেজ। একটি অপারেটরের নিয়মিত ও গ্রাহককেন্দ্রিক বিশেষ প্যাকেজ মিলিয়ে সর্বোচ্চ সংখ্যা হবে ৮৫। কিন্তু নিয়মিত বা গ্রাহককেন্দ্রিক বিশেষ প্যাকেজ সংখ্যা এককভাবে ৫০টির বেশি হতে পারবে না। মোবাইল ফোন অপারেটরের রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট কাজের জন্য সর্বোচ্চ ১০টি প্যাকেজ ব্যবহার করতে পারবেন।
প্যাকেজের ভিন্নতার ক্ষেত্রে দুটি প্যাকেজের মধ্যে ন্যূনতম পার্থক্য ১০০ মেগাবিট ডেটা বা ১০ মিনিট টকটাইম বা উভয়ই হবে।
৩, ৭, ১৫ অথবা ৩০ দিন হবে প্যাকেজের মেয়াদকাল । কোনো নিয়মিত প্যাকেজ চালু করার পর তা বাজারে অন্তত এক মাস রাখতে হবে মোবাইল অপারেটরদের। অন্তত সাত দিন রাখতে হবে গ্রাহককেন্দ্রিক ও গবেষণামূলক প্যাকেজ।
আগামীনিউজ/শরিফ