আইটি ডেস্কঃ ডি-৮ সম্মেলনে পারস্পরিক দেশসমূহে বাণিজ্য বৃদ্ধিতে উদ্যোগ বাড়ানোর পাশাপাশি ই-কমার্সের প্রতি গুরুত্ব দেন সদস্য দেশের মন্ত্রীরা।
তারা বলেন, ডি-৮ দেশের মধ্যে বাণিজ্য বাড়াতে করোনাকালে ই-কমার্সে জোর দিতে হবে। একই সঙ্গে দ্রুত অবকাঠামো ও প্রযুক্তি উন্নয়ন করতে হবে।
পাশাপাশি এসব দেশের শুল্কায়ন প্রক্রিয়া একই কাঠামোতে করা প্রয়োজন, যাতে বাণিজ্য প্রসার ঘটানো সম্ভব হয়।
সোমবার দশম ডি-৮ শীর্ষ সম্মেলনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন বক্তারা।
উদ্বোধনী দিনে ডি-৮ বিজনেস ফোরাম অনুষ্ঠিত হয়। এফবিসিসিআই, তুরস্কের ইউনিয়ন অব চেম্বার অ্যান্ড কমডিটি এক্সচেঞ্জ (টিওবিবি) ও ডি-৮ চেম্বার অব কামার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি এ ফোরামের আয়োজন করে।
এবার ডি-৮ এর দশম সম্মেলনের আয়োজন করছে বাংলাদেশ। ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মে সম্মেলন শুরু হয়েছে সোমবার।
এবারের সম্মেলনের প্রতিপাদ্য হচ্ছে 'বৈশ্বিক রূপান্তরের জন্য অংশীদারিত্ব :যুব সম্প্রদায় ও প্রযুক্তি শক্তির মুক্তি'।
চার দিনের এ সম্মেলনে শেষ দিন (৮ এপ্রিল) জোটের শীর্ষ নেতাদের বৈঠক হবে।
সম্মেলনে সভাপতিত্ব করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ডি-৮ দেশের সরকারপ্রধানরা এতে বক্তব্য রাখবেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, অটোমেশন, চতুর্থ শিল্পবিপ্লব, ব্লকচেইন ও ফিনটেক আগামী দিনের বড় চ্যালেঞ্জ। এ ক্ষেত্রে প্রযুক্তি হস্তান্তর প্রয়োজন। তিনি দেশগুলোর মধ্যে তথ্য আদান-প্রদান করতে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম তৈরি করার কথা বলেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশে বিনিয়োগের সুযোগ দিতে সরকার ১০০ অর্থনৈতিক অঞ্চল করছে। ডি-৮ দেশগুলোর উদ্যোক্তারা ই-জেডে বিনিয়োগ করতে পারেন।
ডি-৮ চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি হলেন ফজলে ফাহিম। তিনি ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইর বর্তমান সভাপতি। শেখ ফজলে ফাহিম ডি-৮ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের নতুন সভাপতি হিসেবে নিযুক্ত হয়েছেন।
উদ্বোধন অনুষ্ঠানের আলোচনায় শেখ ফজলে ফাহিম বলেন, করোনাকে মোকাবিলা করতে বাংলাদেশ প্রথমবার সক্ষম হয়েছে। দ্বিতীয়বারেও সরকারি ও বেসরকারি খাত যৌথভাবে মোকাবিলা করবে বলে জনান তিনি।
আগামীনিউজ/জনী