ঢাকাঃ তথ্য সুরক্ষার নীতিমালা পরিবর্তন করে বিপাকে পড়েছে শীর্ষ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম হোয়াটসঅ্যাপ। ব্যক্তিগত তথ্যচুরির আশঙ্কায় এরই মধ্যে হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার বন্ধ করেছে তুরস্কের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। বিশ্বের শীর্ষ ধনী ও প্রযুক্তিবীদ ইলন মাস্ক হোয়াটসঅ্যাপ বয়কটের ডাক দেয়ার পর এই পথে হাঁটছে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ও রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান।
সম্প্রতি হোয়াটসঅ্যাপের নতুন আপডেটের সফটওয়্যার নীতিমালা থেকে ‘ব্যবহারকারীর তথ্যের সুরক্ষা’ বিষয়ক প্রতিশ্রুতি বাতিল করা হয়। একইসঙ্গে ফোন থেকে তথ্য সংগ্রহ বন্ধের অপশনটিও সরিয়ে ফেলে হোয়াটসঅ্যাপ। মূলত স্বত্বাধিকারী প্রতিষ্ঠান ফেসবুকের সঙ্গে ব্যবহারকারীদের তথ্য আদানপ্রদানের লক্ষ্যেই হোয়াটসঅ্যাপের এ পদক্ষেপ। তবে অনেকেই একে গ্রাহকদের অধিকারের লঙ্ঘন হিসেবে দেখছেন।
রোববার তুর্কি প্রধানমন্ত্রী রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ানের কার্যালয় থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়, যোগাযোগের জন্য হোয়াটসঅ্যাপের পরিবর্তে এখন থেকে রাষ্ট্রীয় টেলিকম সংস্থা তুর্কসেলের অ্যাপ বিআইপি ব্যবহার করা হবে। এ ঘোষণার পর বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে ডিলিট হোয়াটসঅ্যাপ হ্যাশট্যাগের মাধ্যমে বয়কটের ডাক দেন তুরস্কের নাগরিকরা। তুরস্কের পাশাপাশি হোয়াটঅ্যাপ বন্ধের হিড়িক পড়েছে যুক্তরাষ্ট্র, ভারতসহ বিভিন্ন দেশে।
নতুন নীতিমালা অনুযায়ী ব্যবহারকারীর মোবাইলের মডেল থেকে শুরু করে অপারেটিং সিস্টেম, গ্রাহকের অবস্থান এমনকি ফোনের মাধ্যমে আর্থিক লেনদেনের তথ্যও সংগ্রহ করবে হোয়াটসঅ্যাপ। ধারণা করা হচ্ছে হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীর এসব তথ্যের মাধ্যমে অনলাইনে পণ্য বেচাকেনার পথ প্রসার করতে চাচ্ছে ফেসবুক। তবে এর মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটি ব্যবহারকারীর তথ্য ঝুঁকিতে ফেলছে বলে অভিযোগ করেন ইলন মাস্কসহ শীর্ষ প্রযুক্তিবিদরা। তাই হোয়াটঅ্যাপের বিকল্প হিসেবে সিগনাল আর টেলিগ্রামের মতো অ্যাপগুলোর দিকে ঝুঁকছেন অনেক গ্রাহক।
আগামীনিউজ/নাসির