ঢাকাঃ ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের গতিতে বিশ্বের ২২১টি দেশের মধ্যে ১৮৪তম অবস্থান বাংলাদেশের। ব্রডব্যান্ডে বাংলাদেশের ইন্টারনেটের গতি গড়ে ৩.২ mbps। অর্থাৎ প্রতি সেকেন্ডে ৩.২ মেগাবাইট।
তবে প্রযুক্তিনির্ভর দেশ চীনের চেয়ে এগিয়ে বাংলাদেশ।
সম্প্রতি গুগল ও বেশ কয়েকটি মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালিত এম ল্যাবের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে আসে। গত বছরের জুলাই থেকে চলতি বছরের জুন পর্যন্ত এম ল্যাব ২২১টি দেশের ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের গতির ওপর এক সমীক্ষা পরিচালনা করে। এই সমীক্ষায় চার লাখ ৬৭ হাজার বার বাংলাদেশের ৫০ হাজারটি স্বতন্ত্র আইপি অ্যাড্রেসের ইন্টারনেটের গতি পর্যালোচনা করা হয়।
এতে গড় গতি পাওয়া যায় ৩.২ এমবিপিএস। এই গতি চীনের গড় গতির চেয়ে বেশি। প্রযুক্তি-দৈত্য এ দেশটির ব্রডব্যান্ডের গতিবেগ ২.১ এমবিপিএস। তালিকায় চীনের অবস্থান ২০০।
সমীক্ষা প্রতিবেদন বলছে, দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের সবচেয়ে ধীরগতির তালিকায় বাংলাদেশ তৃতীয়। আর বাংলাদেশের গড় ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের গতি এশিয়ার গড় ইন্টারনেটের গতির তুলনায় প্রায় ৬ দশমিক ২ গুণ ধীর। একই সঙ্গে পুরো বিশ্বের তুলনায় ৭ দশমিক ৭ গুণ ধীর। বিশ্বে সবচেয়ে দ্রম্নতগতির ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট পাওয়া গেছে ক্ষুদ্র একটি দেশ লিশটেনস্টাইনে। দেশটিতে ইন্টারনেটের গড় গতি ২৩০ এমবিপিএস! এই গতি দিয়ে ৫ গিগাবাইটের একটি ফাইল ডাউনলোড করতে মাত্র ৩ মিনিটেরও কম সময় লাগবে।
শীর্ষ পাঁচ দেশের বাকি দেশগুলো যথাক্রমে হলো- জার্সি, অ্যান্ডোরা, জিব্রাল্টার এবং লুক্সেমবার্গ। এসব দেশে ৫ গিগাবাইটের একটি ফাইল ডাউনলোড করতে সময় লাগে ৩ থেকে ৬ মিনিট। অন্যদিকে তালিকার সবশেষ স্থানে রয়েছে দক্ষিণ সুদান। দেশটির গড় ডাউনলোড স্পিড মাত্র ০.৬ এমবিপিএস।
আগামীনিউজ/ড্যানি