রিফ্রেশ করলে কি কম্পিউটারের গতি বাড়ে?

তথ্য-প্রযুক্তি ডেস্ক ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০২০, ০৯:৫৭ এএম

অপারেটিং সিস্টেমের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো উইন্ডোজ, ম্যাক ওএস, লিনাক্স। এর মধ্যে উইন্ডোজে শুধু রিফ্রেশ বাটন থাকলেও বাকিগুলোয় রিফ্রেশ করার কোনো অপশন নেই। আসলেই রিফ্রেশ কতটা দরকারি?

অনেকেই কম্পিউটার চালু করার পর রিফ্রেশ করতে ভুলে যান অথবা কোনো ফাইল কপি পেস্ট করার পর প্রতি মিনিটে মিনিটে রিফ্রেশ করতে থাকেন। ব্যবহারকারীদের ধারণা—যত বেশি রিফ্রেশ করা হবে তত গতিশীল হবে কম্পিউটার। আসলে রিফ্রেশের কাজ কম্পিউটারের কার্যক্ষমতাকে দ্রুত করা নয়, তাই যতই রিফ্রেশ করা হোক না কেন কপি পেস্ট তাড়াতাড়ি হবে না। তাহলে রিফ্রেশের আসলে কাজটা কী, দেখে নেয়া যাক।

উইন্ডোজ নিজের ফার্স্ট গ্রাফিকাল ইউজার ইন্টারফেস (GUI) আনে ১৯৮৫ সালে উইন্ডোজ ১.০ সংস্করণে। গ্রাফিকাল ইউজার ইন্টারফেসের জন্যই আমরা এখন মাউসে ক্লিক করে কম্পিউটারের কাজগুলো করতে পারি। গ্রাফিকাল ইউজার ইন্টারফেস আসার আগে ব্যবহারকারীরা কমান্ড লাইনের সাহায্যে কম্পিউটারের ফাইল দেখা থেকে শুরু করে সব কাজ করতেন। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে গ্রাফিকাল ইউজার ইন্টারফেস আরো উন্নত হয়েছে।  খেয়াল করবেন কোনো ফাইল ইন্টারনেট থেকে ডাউনলোড দিয়েছেন, ডাউনলোডও শেষ কিন্তু সেটা আপনার ডাউনলোড ফোল্ডারে দেখাচ্ছে না। তার কারণ আপনার স্ক্রিনটা আগে থেকেই খোলা ছিল। আপনার গ্রাফিকাল ইউজার ইন্টারফেস এখনো জানে না কোথায় আপনার ডাউনলোড করা ফাইলটি আছে। তখন যদি আপনার কম্পিউটারটা রিফ্রেশ দেন, তাহলে আপনার আগে থেকে ওপেন রাখা স্ক্রিনটা একবার রিফ্রেশ হবে এবং আপনার স্ক্রিনে আপনার ডাউনলোড করা ফাইলটি দেখাবে। ডাউনলোড ফোল্ডারে নতুন করে ঢোকার পর আর রিফ্রেশ করার দরকার নেই। কারণ এখনকার ফিকাল ইউজার ইন্টারফেস অনেক আপডেট, কম্পিউটার এখন কিছু সময় পর পর নিজে থেকেই রিফ্রেশ নেয়।

একই জিনিস ঘটে কোনো ফাইল কপি বা পেস্ট করার সময়। তাই অযথা বারবার রিফ্রেশ বাটনে ক্লিক করে নিজের মূল্যবান সময় নষ্ট করবেন না। এটি আপনার কম্পিউটারকে সুপারফাস্ট করবে না।

আগামীনিউজ/হাসি