পরিচিতিঃ Botanical Name: Aquilaria malaccensis Linn. Common Name: Agor English Name: Agarwood
Family: Thymeliaceae
আগর একটি মাঝারি আকৃতির চিরসবুজ বৃক্ষ। উচ্চতায় এটি ৩০-৫০ ফুটের মত হয়ে থাকে। গাছের ছাল পাতলা ও বহিরাবরণ খসখসে। কাঠ নরম ও সাদা বর্ণের। পাতা সরল ও পাতলা, অগ্রভাগ ক্রমশঃ সরু। একই পুষ্পদন্ডে সাদা বর্ণের অনেকগুলো ফুল হয়। বিশেষ ছত্রাক দ্বারা আক্রান্ত হলে বিশেষ তেল জাতীয় পদার্থ জমা হয় যা আগর নামে পরিচিত। এর প্রতি কেজির মূল্য প্রায় ২ লক্ষ টাকা।
প্রাপ্তিস্থানঃ বাংলাদেশে বিশেষতঃ সিলেট ও চট্টগ্রামের পাহাড়ী এলাকায় এটি বেশী জন্মে।
চাষাবাদঃ পাহাড়ী ঢালু অঞ্চল ও কংকময় মাটিতে আগর ভাল জন্মে। সাধারণতঃ বীজের মাধ্যমে এটির বংশ বিস্তার হয়ে থাকে। বনাঞ্চলে গাছের নিচে এমনিতেই চারা গজায় যা লাগিয়ে সংখ্যা বৃদ্ধি করা যায়। লাগানোর দূরত্ব : ২০ থেকে ৩০ ফুট।
উপযোগী মাটিঃ কংকরময় মাটিতে আগর ভাল জন্মে।
পরিপক্ক হওয়ার সময়কালঃ সাধারণত ৫-৬ বছরে আগর গাছ পরিপক্ক হয় তবে পূর্ণাঙ্গ পরিপক্ক হতে ১০ বছর সময় প্রয়োজন।
বীজ আহরণঃ জুন মাসে ফুল এবং আগস্ট মাসে ফল হয় এবং ফল পাকলে বীজ সংগ্রহ করা হয়।
প্রতি কেজিতে বীজের পরিমাণঃ প্রায় তিন হাজার।
ব্যবহার্য অংশঃ কাঠ ও তেল।
প্রক্রিয়াজাতকরণ / সংরক্ষণঃ আগর গাছে প্রাকৃতিক অথবা কৃত্রিমভাবে এক ধরণের ব্যাকটেরিয়া উৎপন্ন করে সুগন্ধি তৈরি করা যায়। আগরের কাঠ রাসায়নিক পদ্ধতিতে নির্যাস করেও সুগন্ধি তৈরি করা সম্ভব। নির্যাস। কাঠের পাত্রে সংরক্ষণ করা ভাল।
উপকারিতা / লোকজ ব্যবহারঃ কান্ডের ক্বাথ জ্বরনাশক, পাকস্থলীর কর্মক্ষমতা বৃদ্ধিকারক, মূত্রবর্ধক কামোদ্দীপক, উত্তেজক ঔষধ ও সুগন্ধি ঔষধ তৈরীতে ব্যবহৃত হয়। বিভিন্ন ধরনের চর্মরোগ, ব্রংকাইটিস, এ্যাজমা ও বাত নিরাময়ের ক্ষেত্রেও এটি বেশ কার্যকরী।
কোন অংশ কিভাবে ব্যবহৃত হয়ঃ
● হৃদপিণ্ড ও মস্তিষ্কের দুর্বলতায় ২-৩ গ্রাম আগর কাঠ গুড়া দুধ সহ প্রতিদিন ১ বা ২ বার খেতে হবে।
● বাত ব্যথায় আগর তেল প্রয়োজন মত আক্রান্ত স্থানে দৈনিক ২ বার হালকা ভাবে মালিশ করতে হবে।
● যৌন দুর্বলতায় স্নায়ু শক্তি বৃদ্ধির জন্য ৩-৪ গ্রাম আগর কাঠ গুড়া ৩-৪ চামচ মধুর সাথে মিশিয়ে প্রতিদিন দু'বার করে খেতে হবে।
অন্যান্য ব্যবহারঃ এর কাঠ সুগন্ধিযুক্ত হওয়ায় পারফিউম তৈরীতে এটি ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়।
আয়ঃ এক একরে ১৬০টি গাছ রোপন করা যায়। আধুনিক উপায়ে নির্যাস তৈরী করলে আন্তর্জাতিক বাজারে এর মূল্য ২০-৩০ লক্ষ টাকা।
এসএস