ঢাকাঃ দেশে প্রাতিষ্ঠানিক ডেলিভারির সংখ্যা বাড়ার বিষয়টি ইতিবাচক, তবে সি-সেকশন (সিজার) বেড়ে যাওয়া আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেছেন, বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে সেটি ৮০ শতাংশের কাছাকাছি। এটি কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। এই অবস্থায় থেকে উত্তরণে বেসরকারি হাসপাতালে নজরদারি বাড়ানো হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
বুধবার (১২ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
মন্ত্রী বলেন, আমরা মাতৃ ও শিশু মৃত্যু কমিয়েছি। আমাদের কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোতে ডেলিভারি সংখ্যা বেড়েছে। তবে আশঙ্কাজনক বিষয় হলো সি-সেকশনও অনেক বেশি মাত্রায় বেড়েছে, যার পরিমাণ বেসরকারি হাসপাতালগুলোতেই অনেক বেশি। সরকারি হাসপাতালগুলোতে সিজারের হার ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ হলেও বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে সেটি ৮০ শতাংশের কাছাকাছি। এটা মেনে নেওয়া যায় না।
জাহিদ মালেক বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গাইডলাইন অনুযায়ী একটি দেশে সর্বোচ্চ ১৫ থেকে ২০ শতাংশ সিজার মেনে নেওয়া যায়। কিন্তু এর বেশি কখনোই মেনে নেওয়ার মতো নয়। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে নজরদারি বৃদ্ধি করা হবে। একই সঙ্গে কীভাবে এই সিজার কমিয়ে আনা যায়, সবরকম চেষ্টাই আমরা করে যাবো।
বৈকালিক সেবার বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, আমরা গতমাসে দেশের বেশ কিছু হাসপাতালে ইনস্টিটিউশনাল প্র্যাকটিস (বৈকালিক সেবা) কার্যক্রম শুরু করেছি। পর্যায়ক্রমে দেশের সবগুলো মেডিকেল কলেজ, হাসপাতাল, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এই কার্যক্রম শুরু করা হবে। আমরা খোঁজ নিয়ে দেখেছি, প্রতিনিয়ত অসংখ্য মানুষ সরকারি হাসপাতালের বৈকালিক সেবায় চিকিৎসা নিচ্ছে। সেবা পেয়ে একদিকে যেমন জনগণ খুশি, অন্যদিকে যারা সেবা দিচ্ছেন তারাও খুশি।
স্বাস্থ্য সেবা ও সুরক্ষা আইন প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, হাসপাতালের সেবা দিতে গিয়ে প্রায় সময়ই চিকিৎসকরা নানা সমস্যায় পড়েন। অনেক সময় রোগীর স্বজনদের মাধ্যমে হাসপাতাল ভাঙচুর হয়। এমনকি ভুল বোঝাবুঝির কারণে মারামারি পর্যন্ত হয়। এসব সমস্যা সমাধানে আমরা আগামী সংসদেই স্বাস্থ্য সেবা ও সুরক্ষা আইনটি পাশ করে ফেলার চেষ্টা করবো।
বুইউ