ঢাকাঃ মহামারি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সারাদেশে চলামান টিকা কর্মসূচির আওতায় এখন পর্যন্ত মোট এক কোটি ৫৯ লাখ ৫২ হাজার ৩১০ জন শিশু করোনা টিকার ডোজ গ্রহণ করেছে। একইসঙ্গে পাঁচ থেকে ১১ বছর বয়সী এসব শিশুর মধ্যে টিকার দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছে ছয় লাখ ৮১ হাজার ২৪৫ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন শাখার (এমআইএস) পরিচালক ও লাইন ডিরেক্টর অধ্যাপক ডা. মো. শাহাদাত হোসেন স্বাক্ষরিত করোনার টিকাদান বিষয়ক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি থেকে সোমবার (২১ অক্টোবর) এই তথ্য জানা যায়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সোমবার সারাদেশে প্রথম ডোজের টিকা দেওয়া হয়েছে তিন লাখ ১৬ হাজার ২৬৫ জনকে। দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হয়েছে ৯৭ হাজার ৮৯৫ জনকে এবং বুস্টার ডোজ দেওয়া হয়েছে ৫৬ হাজার ৭৭৯ জনকে।
করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে টিকা কার্যক্রমের শুরুর পর এখন পর্যন্ত টিকার প্রথম ডোজের আওতায় এসেছেন ১৪ কোটি ৬৯ লাখ ১২ হাজার ৭০৬ জন। দুই ডোজ টিকা পেয়েছেন ১২ কোটি ৪৯ লাখ ৫৩ হাজার ৪৯২ জন মানুষ। এ সময়ে টিকার বুস্টার (তৃতীয়) ডোজ পেয়েছেন পাঁচ কোটি ৮৭ লাখ ৭৯ হাজার ১৫৮ জন।
দেশে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা, সিনোফার্ম, ফাইজার, মডার্না ও জনসন অ্যান্ড জনসনের টিকা দেওয়া হয়েছে।
২০২১ সালের ১ নভেম্বর থেকে ১২-১৭ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়। অধিদপ্তর জানিয়েছে, দেশে এখন পর্যন্ত এক কোটি ৭৩ লাখ ৮০ হাজার ১০০ শিক্ষার্থী টিকার প্রথম ডোজ পেয়েছে। আর দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছে এক কোটি ৬১ লাখ ৫৬ হাজার ৭২৩ জন। গত একদিনে ৫২২ শিক্ষার্থী প্রথম ডোজ টিকা নিয়েছে। আর দ্বিতীয় ডোজ টিকা নিয়েছে ৪১৫ জন। তবে এখন পর্যন্ত কাউকে বুস্টার ডোজ দেওয়া হয়নি।
আর পাঁচ থেকে ১১ বছর বয়সী শিশুদের মধ্যে এখন পর্যন্ত এক কোটি ৫৯ লাখ ৫২ হাজার ৩১০ জনকে করোনা প্রথম ডোজ দেওয়া হয়েছে। শুধু গত ২৪ ঘণ্টায় ফাইজারের বিশেষ এ টিকার ডোজ পেয়েছে তিন লাখ ১২ হাজার ৬৬০ শিশু। আর এখন পর্যন্ত দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছে ছয় লাখ ৮১ হাজার ২৪৫ জনকে।
এদিকে দেশে এ পর্যন্ত পাঁচ লাখ ৪৯ হাজার ৪৪৮ জন ভাসমান জনগোষ্ঠী টিকার আওতায় এসেছেন। তাদেরকে জনসন অ্যান্ড জনসনের সিঙ্গেল ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে। আর ১৩ হাজার ৭৩৪ জনকে বুস্টার ডোজ দেওয়া হয়েছে।
বুইউ