ঢাকা : স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) অ্যান্টিজেন টেস্ট অনুমোদনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। তবে এই মুহূর্তে অ্যান্টিবডি টেস্ট অনুমোদন দেয়া হচ্ছে না। তবে সরকারি হাসপাতাল ও ল্যাবরেটরিতে অ্যান্টিজেন টেস্ট শুরু করা হবে। এছাড়া নমুনা পরীক্ষায় লোকজনের অনীহা আছে। তাই করোনার নমুনা পরীক্ষার ফি কমানো হয়েছে।
আজ সোমবার (২৪ আগস্ট) স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে কোভিড-১৯ প্রাদুর্ভাব রোধে তাইওয়ান সরকার কর্তৃক স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী গ্রহণ অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
করোনা রোধে বাংলাদেশকে তাইওয়ান সরকারের ১ লাখ পিস সার্জিক্যাল মাস্ক, ১৬০০ পিস এন নাইটি ফাইভ মাস্ক, ২০০টি গগলস্ ও ২ সেট ভেন্টিলেটর দিয়েছে।
পরে জাহিদ মালেক বলেন, দেশে স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী এখন পর্যাপ্ত। করোনার কারণে মৃত্যু কমছে, সংক্রমণ কমছে, এর সঙ্গে সুস্থতা বাড়ছে। সংক্রমণ কমানো এখনো বাকি। এক্ষেত্রে বড় হাতিয়ার মাস্ক পরা। সবারই এক্ষেত্রে সচেতন হওয়া জরুরি, একইসঙ্গে অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি মানাও জরুরি।
তিনি বলেন, কোভিড মোকাবিলায় টেলিমেডিসিন কার্যকরভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে, এ কারণে প্রায় ৭০ শতাংশ করোনা আক্রান্ত ব্যক্তি এবং অন্যান্য রোগে আক্রান্ত অসুস্থ ব্যক্তি বাড়িতেই সুস্থ হচ্ছেন।
এ সময় বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি এবং ডাক ও টেলি টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, যে সংকট চলছে, দুর্যোগ চলছে, এটা চ্যালেঞ্জ। সরকার চমৎকারভাবে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করছে। পাশাপাশি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় সহযোগিতা করছে। সুরক্ষা সামগ্রী যথেষ্ট রয়েছে কিন্তু তৃণমূল পর্যায়ে আরও পৌঁছানো দরকার।
আর বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, সবাই সবার মতো এগিয়ে আসলে সম্মিলিতভাবে সংকট উত্তরণ সম্ভব।
আগামীনিউজ/এমজামান/এসপি