করোনাভাইরাস নিয়ে অবিশ্বস্ত বা যাচাই করা নয়– এমন উৎস থেকে তথ্য শেয়ার করা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছে ইউনিসেফ। একই সঙ্গে বৈজ্ঞানিক প্রমাণের ভিত্তিতে যথাযথ প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি।
রোববার (৮ মার্চ) ইউনিসেফ ঢাকা ও নিউইয়র্ক অফিস থেকে যৌথভাবে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে উল্লেখ করা হয়, করোনাভাইরাস সম্পর্কিত ভুল তথ্য বিষয়ে ইউনিসেফের অংশীদারিত্ব বিষয়ক উপ-নির্বাহী পরিচালক শার্লট পেত্রি গোর্নিৎজকার এক বিবৃতিতে বলেছেন, বিশ্বজুড়ে মানুষ নিজেদের এবং তাদের পরিবারকে করোনাভাইরাস থেকে রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় সাবধানতা অবলম্বন করছে। এ মুহূর্তে যা প্রয়োজন তা হচ্ছে বৈজ্ঞানিক প্রমাণের ভিত্তিতে যথাযথ প্রস্তুতি।
তিনি বলেন, যদিও অনেকে ভাইরাস এবং এর বিরুদ্ধে কিভাবে সুরক্ষিত থাকা যাবে সে সম্পর্কিত তথ্য শেয়ার করছেন, তবে এ তথ্যের মধ্যে সামান্যই উপকারি বা নির্ভরযোগ্য। স্বাস্থ্যজনিত সংকটের সময়ে ভুল তথ্য আতঙ্ক ও ভয় ছড়িয়ে দিতে পারে। ফলে মানুষ ভাইরাস থেকে অরক্ষিত থেকে যেতে পারে অথবা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার আরও বেশি ঝুঁকিতে পড়তে পারে।
‘উদাহরণস্বরূপ, ইউনিসেফের সঙ্গে সম্পর্কিত দাবি করে সম্প্রতি বিশ্বজুড়ে বেশ কয়েকটি ভাষায় ছড়িয়ে পড়া একটি ভ্রান্ত অনলাইন বার্তায় অন্যান্য কিছু বিষয়ের সঙ্গে এটাও নির্দেশ করা হয় যে, আইসক্রিম ও অন্যান্য ঠাণ্ডা খাবার এড়িয়ে চললে তা এই রোগ ঠেকাতে সহায়ক হতে পারে। এটি অবশ্যই, পুরোপুরি অসত্য।’
‘এ ধরনের মিথ্যাচার যারা সৃষ্টি করছেন তাদের প্রতি আমাদের সহজ একটি বার্তা হলো, থামুন। ভুল তথ্য শেয়ার করা এবং আস্থাভাজন অবস্থানে থাকা কারও নামের অপব্যবহার করে কর্তৃত্বের সঙ্গে এটাকে প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা বিপজ্জনক ও ভুল।’
‘জনসাধারণের প্রতি আমাদের অনুরোধ, আপনাকে ও আপনার পরিবারকে কিভাবে নিরাপদ রাখতে হবে সে সম্পর্কিত সঠিক তথ্য ইউনিসেফ বা ডব্লিউএইচও, সরকারি স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ও বিশ্বস্ত স্বাস্থ্যসেবা কর্মীদের মতো যাচাই করা উৎস থেকে অনুসন্ধান করুন। অবিশ্বস্ত বা যাচাই করা নয় এমন উৎস থেকে তথ্য শেয়ার করা থেকে বিরত থাকুন।’
ইউনিসেফের অংশীদারিত্ব বিষয়ক উপ নির্বাহী পরিচালক বলেন, সঠিক তথ্য ও উপদেশ প্রাপ্তি নিশ্চিত করার পাশাপাশি অসত্য তথ্য ছড়িয়ে পড়ার সময় জনসাধারণকে সে সম্পর্কে অবহিত করার ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, সরকারি কর্তৃপক্ষ এবং ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, লিংকডইন ও টিকটকের মতো অনলাইন অংশীদারদের সঙ্গে কাজ করার মাধ্যমে ইউনিসেফ ভাইরাস সম্পর্কে যথাযথ তথ্য প্রদানে সক্রিয়ভাবে পদক্ষেপ নিচ্ছে।’
আগামীনিউজ/নুসরাত