যশোরঃ গত কয়েক বছর করোনাভাইরাস ও আম্পানের কারণে ফুল সেক্টরের ক্ষতি পুষিয়ে তোলার নতুন আশা দেখছেন যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার গদখালীর ফুল চাষিরা। সামনেই পহেলা ফাল্গুন, বিশ্ব ভালোবাসা দিবস ও ২১ ফেব্রুয়ারি। এরই মধ্যে চাঙা হয়ে উঠেছে ফুলের বাজার।
ফুল চাষিরা বলছেন, এ বছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ফুল উৎপাদন ভালো হয়েছে। দামও ভালো থাকায় চাঙা হয়ে উঠছে কেনাবেচা। এ মৌসুমে ৫০ কোটি টাকার ফুল বিক্রি করতে পারবেন বলে আশা করছেন।
গদখালী ফুলের পাইকারি বাজার ঘুরে দেখা যায়, ফুল কিনতে পাইকার ও খুচরা ব্যবসায়ীরা দূর-দূরান্ত থেকে এসেছেন। সারাদিনই বিভিন্ন রুটের বাসের ছাদে, ট্রাক ও পিকআপে স্তূপ করা হয়েছে ফুল; যেগুলো পাঠানো হবে রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায়।
পানিসারা এলাকার ফুলচাষি রবিউল ইসলাম বলেন, “এবার সব জাতের ফুলের দাম ভালো। আশা করছি ভালোবাসা দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে গত কয়েক বছরের রেকর্ড ভঙ্গ করে এবার ফুল বেচাকেনা হবে।”
ফুল ব্যবসায়ী হৃদয় হোসেন বলেন, সারা বছরের মধ্যে ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহের পর ফুলের চাহিদা ব্যাপক বেড়ে যায়। তখন ফুলের দর আরও বাড়ে। সব মিলিয়ে ফেব্রুয়ারিতে সবচেয়ে বেশি দামে ফুল বিক্রি করা হয়।
হাঁড়িয়া নিমতলা গ্রামের ফুলচাষি আশরাফ হোসেন বলেন, বসন্তের আগে কয়েকদিনে ১৭ কাঠা জমির গাঁদা ফুল বিক্রি করেছি ৭০ হাজার টাকায়।
বাংলাদেশ ফ্লাওয়ার সোসাইটির সভাপতি গদখালীর ফুলচাষি আব্দুর রহিম জানান, গত কয়েক বছর মহামারির ভয় কাটিয়ে চাষিরা এবার আবার ঘুরে দাঁড়িয়েছে। বসন্তবরণ উৎসব, ভালোবাসা দিবস আর ২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে ফুল বিক্রির আশায় চাষিরা প্রস্তুতি গ্রহণ করছেন।
বুইউ