বাংলাদেশসহ ৯৫ দেশে তৈরি হবে ফাইজারের করোনা পিল

ডেস্ক রিপোর্ট নভেম্বর ১৭, ২০২১, ০৮:৩৮ এএম
ছবিঃ সংগৃহীত

ঢাকাঃ বাংলাদেশসহ ৯৫ টি নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশে তৈরি হবে ফাইজারের মুখে খাওয়ার করোনা ওষুধ প্যাক্সলোভিডের জেনেরিক (ভিন্ন নামে একই ওষুধ) ওষুধ। এ বিষয়ে জাতিসংঘ সমর্থিত গ্রুপ মেডিসিনস প্যাটেন্ট পুলের (এমপিপি) সঙ্গে চুক্তি হয়েছে মার্কিন ফার্মাসিউটিক্যাল জায়ান্টদের। 

মঙ্গলবার (১৬ নভেম্বরে) জাতিসংঘভিত্তিক আন্তর্জাতিক পেটেন্ট সংস্থা মেডিসিন পেটেন্ট পুলের (এমপিপি) সঙ্গে এ বিষয়ক চুক্তি হয়েছে ফাইজার কর্তৃপক্ষের। ফলে নির্ধারিত দেশগুলোর ওষুধ নির্মাতারা ফাইজারের তৈরি অ্যান্টিভাইরাল ওষুধ প্যাক্সলোভিড উৎপাদনের লাইসেন্স পাচ্ছে।

মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে ফাইজার জানিয়েছে, নিম্ন ও নিম্ন-মধ্যম আয়ের পাশাপাশি সাব-সাহারান অঞ্চলের কিছু উচ্চ-মধ্যম আয়ের দেশ এবং গত পাঁচ বছরের মধ্যে নিম্ন-মধ্যম আয় থেকে উচ্চ-মধ্যম আয়ের দেশের স্বীকৃতি পেয়েছে এমন ৯৫টি দেশ তাদের তৈরি করোনার ওষুধ উৎপাদনের অনুমতি পাবে।

বিশ্বের সবচেয়ে কার্যকর করোনা টিকা ফাইজার এন বায়োএনটেকের অন্যতম প্রস্তুতাকারী প্রতিষ্ঠান ফাইজার চলতি নভেম্বরের শুরুর দিকে করোনার মুখে খাওয়ার ওষুধ প্যাক্সলোভিড বাজারে আনার ঘোষণা দিয়েছে।

কোম্পানিটির দাবি- তাদের অ্যান্টিভাইরাল পিল করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া এবং এ রোগে মৃত্যুর ঝুঁকি ৮৯ শতাংশ পর্যন্ত কমাতে সক্ষম।

এই হার ফাইজারের অন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বী কোম্পানি মের্কের করোনা পিল মলনুপিরাভিরের চেয়ে বেশি। জরুরি প্রয়োজনে ব্যবহারের জন্য সদ্য মার্কিন খাদ্য ও ওষুধের মান নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডিমিনিস্ট্রেশনের (এফডিএ) অনুমোদন পাওয়া ওষুধ মলনুপিরাভির করোনায় আক্রান্তদের হাসপাতালে ভর্তি ও মৃত্যুর ঝুঁকি ৫০ শতাংশ পর্যন্ত কমাতে সক্ষম।

প্যাক্সলোভিড নামের ওষুধটি প্রস্তুতের পর মোট ১ হাজার ২১৯ জন করোনা রোগীর ওপর এই ওষুধ পরীক্ষামূলকভাবে প্রয়োগ করা হয়েছে। ট্রায়ালে অংশ নেওয়া করোনা রোগীরা সবাই মৃদু ও মাঝারি উপসর্গে ভুগছিলেন।

এর আগে জেনেভাভিত্তিক গ্রুপ এমপিপির সঙ্গে একই ধরনের চুক্তির আওতায় মার্কের তৈরি করোনার ওষুধ মলনুপিরাভির তৈরির লাইসেন্স পেয়েছিল বাংলাদেশসহ ১০৫টি দেশ।

চলতি মাসের শুরুর দিকে করোনা রোগীদের জন্য মুখে খাওয়া ওষুধে সাফল্য পাওয়ার কথা জানায় ফাইজার। প্রাথমিক ট্রায়ালে তাদের ওষুধ ৮৯ শতাংশ কার্যকর প্রমাণিত হয়েছে বলে দাবি করেছে মার্কিন প্রতিষ্ঠানটি।

ট্রায়ালের ফলাফলে দেখা যায়, কোভিড-১৯ সারাতে ফাইজারের ওষুধ তাদের প্রতিদ্বন্দ্বী মার্কের তৈরি মলনুপিরাভিরের চেয়েও বেশি কার্যকর। মার্কের ওষুধটি করোনায় আক্রান্তদের হাসপাতালে ভর্তি বা রোগীদের মৃত্যুঝুঁকি অর্ধেকে নামাতে সক্ষম। সেই তুলনায় ফাইজারের প্যাক্সলোভিডের কার্যকারিতা প্রায় দ্বিগুণের কাছাকাছি।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবর অনুসারে, চলতি বছরের শেষ দিকে মার্কিন নীতিনির্ধারকদের অনুমোদন পেতে পারে ফাইজারের ওষুধটি। তারা আগামী ২৫ নভেম্বরের আগেই প্রাথমিক ট্রায়ালের ফলাফল মার্কিন খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসনের (এফডিএ) হাতে তুলে দেবে বলে জানিয়েছে।

আগামীনিউজ/বুরহান