ঢাকাঃ চীন থেকে সিনোফার্মের আরও ১০ লাখ ডোজ করোনাভাইরাসের টিকা দেশে এসে পৌঁছেছে। বেইজিং ক্যাপিটাল ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট থেকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের টিকা বহনকারী একটি বিশেষ ফ্লাইট বৃহস্পতিবার (২৯ জুলাই) রাত সাড়ে ১০টায় শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছায়।
শুক্রবার (৩০ জুলাই) ভোরে বিমানের আরও দুটি ফ্লাইট চীন থেকে টিকা নিয়ে ঢাকায় এসে পৌঁছায়।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের জনসংযোগ শাখার উপ-মহাব্যবস্থাপক তাহেরা খন্দকার স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানা গেছে।
বিমানবন্দরে কর্মরত স্বাস্থ্য অধিদফতরের সহকারী পরিচালক ডা. শাহরিয়ার সাজ্জাদ বলেন, ‘বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের প্রথম ফ্লাইটটিতে ১০ লাখ ডোজ টিকা এসেছে। বাকি ২০ লাখ ডোজ শুক্রবার সকালে পৌঁছানোর কথা রয়েছে।’
মোট ৩০ লাখ ডোজ করোনার টিকা দেশে আনতে ২৯ জুলাই বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের অত্যাধুনিক তিনটি ড্রিমলাইনার (একটি বোয়িং ৭৮৭-৯ ও দুইটি বোয়িং ৭৮৭-৮) ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে চীনের উদ্দেশে ছেড়ে যায়। ফ্লাইটগুলোতে বিমানের ককপিট ক্রু, কেবিন ক্রু ও অন্যান্য সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছেন।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে প্রয়োজনীয় তাপমাত্রায় বিশেষ ব্যবস্থার মাধ্যমে এসব টিকা দেশে আনার ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। আন্তর্জাতিক এভিয়েশন নীতিমালা ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) সুরক্ষানীতি যথাযথভাবে অনুসরণ করে করোনাকালে সাশ্রয়ী খরচে টিকা, ভেন্টিলেটর ও অন্যান্য সুরক্ষাসামগ্রী পরিবহন করছে বিমান।
গত ১২ মে প্রথমবারের মতো সিনোফার্মের ৫ লাখ টিকা দেশে আসে। সেই টিকাগুলো চীন সরকার বাংলাদেশকে উপহার হিসেবে দেয়। ১৯ মে সরকার চীনের সিনোফার্মের তৈরি সার্স-কোভ-টু ভ্যাকসিন সরাসরি ক্রয়ের নীতিগত অনুমোদন দেয়। এরপর কয়েক ধাপে চীন থেকে কেনা এবং উপহারের টিকা আসে।
দেশে সরকার গণটিকাদানের যে কর্মসূচি শুরু করেছে, তার একটি বড় অংশে এসব টিকা দেয়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে।
এর আগে, ৮ মে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) এই টিকার জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন দেয়। এরপর তা ব্যবহারে অনুমোদন দেয় বাংলাদেশও।