ঢাকাঃ শ্রম আইনে গুরুত্বপূর্ণ সংস্কারের মধ্য দিয়ে বিদেশি কর্মীদের জন্য নতুন দিনের সূচনা হল সৌদি আরবে।
দেশটির ‘কাফালা’ ব্যবস্থায় পরিবর্তন আনায় বেসরকারি খাতের বিদেশি শ্রমিকরা এখন নিয়োগকর্তার অনুমতি ছাড়াই চাকরি পরিবর্তন বা দেশত্যাগ করতে পারবেন।
সেইসঙ্গে সরকারি চাকরির জন্য সরাসরি আবেদন করার সুযোগও উন্মুক্ত হচ্ছে বিদেশিদের জন্য, যা রোববার থেকেই কার্যকর হয়েছে বলে আরব নিউজের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
পত্রিকাটি লিখেছে,বড় ধরনের এই সংস্কারে বিদেশিদের সঙ্গে সব কাজের চুক্তি ডিজিটালি রেকর্ড করা হবে।তাদের যে বসবাসের অনুমতি দেওয়া হবে, তাতে নির্দিষ্ট নিয়োগকর্তার অধীনে চাকরি করার বাধ্যবাধকতাও আর থাকবে না।
প্রায় এক কোটি বিদেশি কর্মী এই আইনি সংস্কারের সুবিধা ভোগ করতে পারবে বলে আরব নিউজ জানিয়েছে।
মধ্যপ্রাচ্যের তেলসমৃদ্ধ দেশ সৌদি আরবে ২০ লাখের বেশি বাংলাদেশি বিভিন্ন পেশায় কাজ করেন। প্রতি বছর তারাই সবচেয়ে বেশি রেমিটেন্স দেশে পাঠান। নতুন নিয়মের সুবিধা নিয়ে তারাও অপেক্ষাকৃত ভালো কাজের চেষ্টা করতে পারবেন এখন।
সাত দশকের পুরনো ওই নিয়মে বিদেশি কর্মীরা যে স্পন্সর নিয়োগকর্তার অধীনে সৌদি আরবে যেতেন, তার অধীনে এবং তার নির্দেশেই তাকে চলতে হত। ফলে কাজ পরিবর্তন বা দেশে ফেরার স্বাধীনতাও তার থাকত না।
এ কারণে নিয়োগকর্তার হাতে বিদেশি শ্রমিকদের নির্যাতিত হওয়ার অসংখ্য অভিযোগ বিগত বছরগুলোতে সংবাদমাধ্যমে এসেছে।
সৌদি আরবে অবস্থানরত বিদেশি কর্মীরা শ্রম আইনের এই সংস্কারকে সানন্দে স্বাগত জানিয়েছে, কারণ এর মধ্য দিয়ে কাজের ক্ষেত্রে তাদের স্বাধীনতা বাড়বে।
আগামীনিউজ/সোহেল