ঢাকা: গম ও ভুট্টার নতুন দুটি জাত উদ্ভাবন করেছেন বাংলাদেশ গম ও ভুট্টা গবেষণা ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানীরা। এর মধ্যে ভুট্টার যে জাতটি উদ্ভাবিত হয়েছে তা ভিটামিন ও প্রো-ভিটামিন সমৃদ্ধ। আর গমের যে জাতটি উদ্ভাবিত হয়েছে, তা উচ্চ ফলনশীল ও ব্লাস্ট রোগ প্রতিরোধী।
গবেষকরা বলছেন, বর্তমানে জমিতে যেসব ভুট্টা আবাদ হয় তাতে এক গ্রাম ভুট্টায় প্রায় ২ মাইক্রোগ্রাম ভিটামিন এ পাওয়া যায়। তবে নতুন যে জাতটি উদ্ভাবিত হয়েছে, তাতে ৪ থেকে ৫ গুণ বেশি ভিটামিন এ পাওয়া যাবে। এছাড়াও এর প্রো-ভিটামিন এ মানুষের শরীরে গ্রহণমাত্রা সাধারণ ভুট্টার চেয়ে অনেক বেশি; যা সাহায্য করবে রাতকানা, বামনাকৃমি ও বন্ধ্যাত্ব দূরীকরণে।
সাধারণ ভুট্টা হেক্টর প্রতি উৎপাদন হয় ১০ থেকে ১১ টন, যেখানে নতুন উদ্ভাবিত ভুট্টার উৎপাদন হবে কমপক্ষে ১২ টন। এছাড়াও এই ভুট্টায় রোগবালাই ও পোকামাকড়ের উপদ্রপ কম। ফলে সব দিক দিয়েই লাভবান হবে চাষিরা।
এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ গম ও ভুট্টা গবেষণা ইনস্টিটিউটের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা আলমগীর মিয়া বলেন, যেসব ভুট্টা বর্তমানে চাষাবাদ হচ্ছে, তাতে গ্রহণযোগ্য মাত্রায় ভিটামিন এ থাকে না। ফলে তা শরীরে আত্মীকরণ হয় না। কিন্তু নতুন জাতের ভুট্টায় অধিক পরিমাণে ভিটামিন এ থাকে, যা সহজেই দেহে আত্মীকরণ হবে।
সেই সাথে বারী গম ৩৩ নামে নতুন একটি গমের জাত উদ্ভাবন করেছেন বিজ্ঞানীরা। ইতোমধ্যেই গমটি মাঠ পর্যায়ে চাষাবাদ করে সফলতা পেয়েছেন তারা। নিজস্ব মাঠে পরীক্ষামূলক আবাদ করে সফলতার পর এবার তারা মাঠ পর্যায়ে চাষিদের জমিতে জাতটি আবাদ করেছেন। সেখানেও মিলেছে সফলতা। নতুন এই জাতটি ব্লাস্ট প্রতিরোধী এবং সব ধরনের প্রতিকূলতা এড়িয়ে প্রায় সব মাটিতেই আবাদের উপযোগী। একইসঙ্গে অন্যান্য জাতের তুলনায় এই জাতটির ফলনও বেশি।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ গম ও ভুট্টা গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. এছরাইল হোসেন বলেন, 'চলতি বছরে সারা দেশে প্রায় ১৩ লাখ টন গম উৎপাদন হয়েছে। নতুন উদ্ভাবিত বীজের মাধ্যমে আগামী বছরে প্রায় ১৭ লাখ টন গম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে কাজ করছেন বিজ্ঞানীরা।
আগামীনিউজ/এমআর