হবিগঞ্জ: জেলার পাহাড়ি পতিত জমিতে এবার আনারসের আবাদ বেড়েছে। ফলনও ভাল হচ্ছে। এক সময় এ জেলায় তেমন একটা চাষ হতো না আনারসের। বর্তমানে ভালো ফলন ও লাভজনক হওয়ায় আগ্রহ বেড়েছে চাষিদের। পাহাড়ি লালমাটিতে এ ফলটি বছরজুড়েই চাষ হচ্ছে। চাহিদা থাকায় দিন দিন চাষেরও পরিধি বাড়ছে।
জেলার বাহুবল, নবীগঞ্জ, চুনারুঘাট ও মাধবপুরের পাহাড়ি পতিত জমি আবাদ করে চাষিরা ক্যালেন্ডার ও জলঢুপি জাতের আনারস চাষ করছেন।
স্থানীয় চাষিরা জানান, এখানের আনারস বিষমুক্ত। কারণ, এর ফলনে কীটনাশকের প্রয়োগ হয়নি। বিষমুক্ত বলে এখানের আনারসের কদর রয়েছে ক্রেতাদের কাছে।
কয়েক বছর আগেও পাহাড়ে প্রচুর জমি পতিত পড়ে থাকত। এসব জমিতে কোন ফসল চাষ হতো না। দিন দিন লোক সংখ্যা বাড়ছে। তার সঙ্গে কর্মসংস্থানের প্রয়োজনে পাহাড়ি পতিত জমিতে আবাদ করে এখন পুরোদমে আনারসসহ নানা ধরণের ফসলের চাষ হচ্ছে।
এ প্রসঙ্গে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক (শস্য) কৃষিবিদ মো. জালাল উদ্দিন বলেন, বর্তমানে আনারসের কদর বেড়েছে। তাই দাম বেড়েছে কিছুটা। সাধারণত টিলা বা এমন এলাকায় আনারস চাষ হয়ে থাকে। বর্তমানে জেলার পাহাড়ি এলাকার প্রায় ৩ হাজার একর জমিতে এ ফলটি চাষ হচ্ছে। প্রতি একরে উৎপাদন ৬ মেট্রিক টন। কমপক্ষে ৪ হাজার চাষি এর সাথে জড়িত।
আগামীনিউজ/আরজি/এমআর