বেগুন চাষে কৃষকের আশানুরূপ লাভ

ফরিদপুর প্রতিনিধি ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০২০, ০১:২৪ পিএম

ফরিদপুরের সবজি ভাণ্ডার হিসেবে পরিচিত সদরপুর উপজেলা। ঋতু ভেদে প্রায় সব ধরনের সবজি উৎপন্ন হয় এ উপজেলায়। বিশেষ করে সদরপুরের শৈলডুবির কৃষকরা বেগুন চাষের প্রতি বেশি আগ্রহী। কারণ তাদের বেগুন যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন হাট-বাজারে। চাষিরা বেগুনের আশানুরূপ দামও পাচ্ছে। এ কারণে তাদের চোখে-মুখে আনন্দের ঝিলিক।

ফরিদপুর কৃষি সম্প্রসারণ অফিস সূত্রে জানা গেছে, এই মৌসুমে ফরিদপুরের সদরপুরে বেগুনের আবাদ হয়েছে ৪৮৬ হেক্টর জমিতে। যা থেকে উৎপাদন হবে ১১ হাজার ১৭৮ মেট্রিকটন। আর এই বিপুল পরিমাণ বেগুন ব্যবসায়ীদের হাত ঘুরে ছড়িয়ে যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন জেলায়।

মণ প্রতি চাষিরা পাইকারি বিক্রয় করছেন প্রকার ভেদে ১২০০ থেকে ১৫০০ টাকায়। নানা ধরনের সবজিসহ বেগুন চাষ করে একদিকে যেমন আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন তারা, অন্যদিকে দেশের সবজির চাহিদা পূরণেও উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখতে সহায়তা করছেন।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পরিবার-পরিজন নিয়ে বেগুন চাষিরা ব্যস্ত সময় পার করছেন। কেউ গাছ থেকে বেগুন তুলছেন, কেউ তা পানিতে পরিষ্কার করে জড়ো করছেন। আবার কেউ মেপে বস্তায় তুলছেন।

শৈলডুবি বেগুন চাষি হারিজ মোল্লা জানান, ‘বিঘা প্রতি যে খরচ বেগুন চাষে তার চেয়ে কয়েক গুণ বেশি আয় হচ্ছে, আর এই অর্থ দিয়ে পরিবারের সকল খরচ মেটান চাষিরা।’

ফরিদপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক কার্তিক চন্দ্র চক্রবর্তী জানান, ‘শৈলডুবির বেগুন চাষিদের মৌসুমের সময়ে বিভিন্ন ধরনের পরামর্শ দিয়ে থাকি। এছাড়াও আমাদের কৃষি কর্মকর্তারা বেগুন ক্ষেতগুলোতে বিশেষ নজর রাখেন। যেকোনো সমস্যায় দ্রুত পদক্ষেপ নেয়া হয়। তাই চাষিরা বেগুন চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন।’

জেলার শৈলডুবির বেগুনের কদর রয়েছে দেশের বিভিন্ন বাজার ও হাটে। ব্যবসায়ীরা এখান থেকে বেগুন কিনে দেশের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করে থাকেন।

আগামীনিউজ/হাসি