তিস্তার দুই পাড় ও জেগে ওঠা চরের অন্তত ১০ হাজার একর জমি প্রভাবশালীরা দখল করে রেখেছেন। এসব জমি উদ্ধারে পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ দায়িত্বশীল কর্তৃপক্ষ এখন পর্যন্ত কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। তারা অবশ্য ‘দখলমুক্ত’ করার জন্য নানা সময় নানা বক্তব্য দিচ্ছেন, কিন্তু কাজেকর্মে এর কোনো প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে না।
পাউবোর সূত্র বলছে, তিস্তার চর ও দুই পাশের জমিতে বাড়িঘর, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, মসজিদ, মাদ্রাসা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ কয়েকশ স্থাপনা গড়ে উঠেছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডেরই এক শ্রেণির কর্মকর্তা-কর্মচারী স্থানীয় প্রভাবশালীদের সঙ্গে আঁতত করে এসব জমি তাদের দখলে রাখতে দিয়েছেন। তিস্তায় এ ধরনের দখলদারের সংখ্যা দুই হাজারের বেশি। তারা ১০ হাজার একরের বেশি জমি দখলে রেখেছেন। পানি উন্নয়ন বোর্ডের উদাসীনতায় বেদখল হয়ে যাওয়া জমি উদ্ধার করা সম্ভব হচ্ছে না।
এ বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের ডালিয়া ডিভিশনের নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম বলেন, তিস্তা ঘিরে কিছু কিছু অবৈধ দখলদার রয়েছে ঠিকই, তবে অন্যান্য নদীর মতো এটা প্রকট নয়।
রংপুর জেলা প্রশাসক আসিব আহসান বলেন, তিস্তা নদীকে ঘিরে মহাপরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। নদী খনন শুরু হলে অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ শুরু হবে।
রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী কৃষ্ণ কুমার সরকার অবৈধ দখলের বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, বর্তমানে দেশে অনেক উন্নয়ন হচ্ছে। তিস্তারও উন্নয়ন হবে। তখন কোনো অবৈধ দখলদার থাকতে পারবে না। (খবর : বাংলাদেশ প্রতিদিন, ১৪ মার্চ, ২০২০)