ঢাকাঃ কলকাতায় একের পর এক অভিনেত্রীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার হচ্ছে। জনপ্রিয় টিভি অভিনেত্রী পল্লবী দে’র ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধারের রহস্য এখনো উদঘাটিত হয়নি। এর মধ্যেই গত বুধবার (২৫ মে) উদ্ধার করা হয়েছে আরেক মডেল-অভিনেত্রী বিদিশার ঝুলন্ত মরদেহ।
এ নিয়ে যখন কলকাতার পুরো বিনোদন জগতে হইচই পড়ে গেছে। তখন আরও এক অভিনেত্রীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তার নাম মঞ্জুষা নিয়োগী। শুক্রবার (২৭ মে) সকালে পাটুলির একটি বাড়ি থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ভারতের একাধিক গণমাধ্যম খবরটি নিশ্চিত করেছে।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, বিদিশার ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলেন মঞ্জুষা। তার মায়ের দাবি, বিদিশার মৃত্যুর পরই হতাশায় ভুগতে শুরু করেছিলেন অভিনেত্রী। তার জেরেই আত্মহত্যা।
বৃহস্পতিবারও (২৬ মে) শুটিং করেছিলেন মঞ্জুষা। বাড়িতে ফিরে নিজের প্রিয় খাবার গলদা চিংড়িও খেয়েছিলেন। এদিন স্বামীর সঙ্গে তার কিছুটা মনোমালিন্য হয়। মঞ্জুষার মা জানিয়েছেন, পেশাগত কারণে খাওয়াদাওয়া কম করতেন অভিনেত্রী। এ নিয়ে বকাবকি করতেন তার স্বামী। বৃহস্পতিবার মঞ্জুষাকে নিতে তাদের বাড়িতে এসেছিলেন স্বামী। কিন্তু মঞ্জুষা যেতে রাজি হননি।
যদিও পুলিশ এখনও এই ঘটনায় কোনও সুইসাইড নোট পায়নি। অস্বাভাবিক মৃত্যুর তদন্ত শুরু হয়েছে। মঞ্জুষা টলিউডে কাজ করছেন বহু দিন ধরেই। একটি টিভি চ্যানেলে ধারাবাহিকে অভিনয় করতেন। পাশাপাশি থিয়েটারেও অভিনয় করতেন মঞ্জুষা।
বিদিশার মৃত্যুর ঠিক দু’দিনের মাথায় তার বন্ধু মঞ্জুষারও এই অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় কোনও যোগসূত্র আছে কি না, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। মঞ্জুষার মৃত্যুর নেপথ্যেও তেমন কোনও ঘটনা রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
আত্মহত্যার ঘটনায় অভিনেত্রী ও মডেলার বিদিশা দে এর মৃত্যুর প্রসঙ্গে অভিনেত্রী সংসদ সদস্য নুসরাত জাহান বলেছিলেন, দ্রুত শিখরে পৌঁছানো উচ্চ আকাঙ্ক্ষা মানসিক যন্ত্রণার জন্য মৃত্যু হচ্ছে অভিনেত্রী ও মডেল দের। উচ্চ আকাঙ্ক্ষা অনুয়ায়ী শিখরে পৌঁছাতে না পেরে মানসিক যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতে আত্মহত্যা পথ বেছে নিচ্ছে; এটা খুবই দুঃখের বিষয়। এটা যেন কেউ না করে।
উল্লেখ্য, দীর্ঘ দিন ধরে টলিউডে কাজ করছেন মঞ্জুষা। টিভির পাশাপাশি থিয়েটারেও ছিলেন সরব। বর্তমানে তিনি একটি টিভি সিরিয়ালে অভিনয় করছিলেন।
এমবুইউ