ঢাকাঃ টলিউডে আজকাল মিথিলাকে নিয়ে বেশ ভালো চর্চা হয়। সেখানকার পরিচালক-প্রযোজকেরা তার ওপর ভরসাও করছেন। কিন্তু গড্ডালিকা প্রবাহে গা ভাসাতে চান না এপার বাংলার এই জনপ্রিয় অভিনেত্রী। তাই বুঝে-শুনে এগোচ্ছেন। ইতোমধ্যে তিনি বেশ কয়েকটি সিনেমায় অভিনয় করেছেন। এছাড়া কাজ করেছেন ওয়েব সিরিজে।
কলকাতা ভিত্তিক ওটিটি প্ল্যাটফর্ম ‘হইচই’য়ের জনপ্রিয় সিরিজ ‘মন্টু পাইলট’-এর দ্বিতীয় সিজনে অভিনয় করেছেন মিথিলা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ পেয়েছে তার চরিত্রের কয়েকটি স্থিরচিত্র।
সিরিজটির প্রথম সিজন অশ্লীল সংলাপ ও দৃশ্য এবং গালাগালির জন্য দর্শকের কাছে সমালোচনার শিকার হয়েছিল। অনেকে আপত্তি তুলে এটি নিষিদ্ধের দাবিও করেছিলেন। সম্প্রতি সিরিজটির খোলামেলা পোশাক ও চুম্বন দৃশ্য নিয়ে মুখ খুলেছেন মিথিলা।
আনন্দবাজার ডিজিটালকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে মিথিলা বলেন, “আমি ঠিক জানি না, তথাকথিত ‘সাহসী’ কাকে বলে? চরিত্রের খাতিরে যেটা আমায় করতে হবে আমি সেটাই করব। একজন অভিনেতার সেটাই করা উচিত। রাজর্ষি দে-র ‘মায়া’ ছবিতেও আমাকে যেভাবে দেখা যাবে সেটা যথেষ্ট সাহসী। আমায় এর আগে ওই চরিত্রে, ওই সাজে কেউ দেখেননি। সাহসী মানেই খোলামেলা পোশাক আর চুম্বন দৃশ্যে অভিনয় নয়। আমি অন্তত তেমনটাই মনে করি।”
এই সিরিজে ‘বহ্নি’ চরিত্রে ডাক পাওয়া প্রসঙ্গে অভিনেত্রী বলেন, 'গল্প শোনার পরে এক মুহূর্তের জন্য কোনো দ্বিধা, জড়তা কাজ করেনি। কারণ, এটা সমাজের এমন একটা অবহেলিত গোষ্ঠীর গল্প যাদের প্রতি মুহূর্তে আমরা সমাজচ্যুত করার চেষ্টা করি এবং অস্বীকার করি। আমরা মানি বা না মানি যৌনকর্মীরা এই সমাজেরই অংশ। প্রতিটি পেশার মানুষের মতোও এঁদেরও অবদান আছে সমাজে।’
নিজের চরিত্রটি কেমন? জানতে চাইলে মিথিলার ভাষ্য, ‘একদম শুরুতে বহ্নি বড় লোক বাবার আদুরে মেয়ে। যে ঘটনাচক্রে নীলকুঠিতে চলে আসে। এখানে এসে সে নিজেকে যেন নতুন করে চিনতে পারে। নিজের জীবনের সমস্ত কঠিন সিদ্ধান্ত নিজেই আস্তে আস্তে নিতে শেখে। একটা সময়ের পরে মানবী বহ্নি যেন নারীশক্তিতে বলীয়ান হয়ে অতি মানবীতে পরিণত হয়। আমার চরিত্রের দুটো স্তর। বহ্নি আর পরি। বহ্নি আস্তে আস্তে কী ভাবে নিজের উত্তরণ ঘটিয়ে পরি হয়ে উঠবে সেটাই দেখানো হবে দ্বিতীয় সিজনে। একজন মেয়ে পরিস্থিতির কারণে কতভাবে বদলে যায়, ঘা খেতে খেতে পরিণত হয়ে ওঠে সেটাই দেখাবে এই চরিত্র।’
উল্লেখ্য, ‘মন্টু পাইলট’ নির্মাণ করছেন দেবালয় ভট্টাচার্য। এই সিরিজে মিথিলার বিপরীতে আছেন সৌরভ দাস।
এমএম