ঢাকাঃ অভিনেত্রী রাইমা ইসলাম শিমু হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় স্বামী শাখাওয়াত আলীম নোবেল ও তার বন্ধু ফরহাদকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। নিহতের বড় ভাই শহীদুল ইসলাম খোকন বাদী হয়ে কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
মামলায় গ্রেফতার দেখানো নোবেল ও ফরহাদকে মঙ্গলবার বিকেলে আদালতে পাঠিয়ে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ। আদালত তাদের দুই জনের তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
মঙ্গলবার (১৮ জানুয়ারি) ঢাকার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রাবেয়া বেগমের আদালত এ আদেশ দেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আনোয়ারুল কবীর বাবুল এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘এদিন সন্ধ্যায় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কেরানীগঞ্জ মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) চুন্নু মিয়া আসামিদের আদালতে হাজির করেন। একইসঙ্গে মামলার সুষ্ঠু তদন্তের প্রয়োজনে প্রত্যেকের ১০ দিন করে রিমান্ডের আবেদন করেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক রিমান্ডের এ আদেশ দেন।
পুলিশ সুপার জানান, পরিকল্পিতভাবে এই চিত্রনায়িকাকে হত্যার পর খুনিরা লাশটি কেরানীগঞ্জ মডেল থানাধীন হজরতপুরে ফেলে যায়। পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হলেও তারা কিছু চিহ্ন রেখে যায়। আমরা তাৎক্ষণিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ আলামতগুলো জব্দ করি। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ভিকটিম চিত্রনায়িকা শিমুর স্বামী খন্দকার শাখাওয়াত আলীম নোবেল (৪৮) ও তার বাল্যবন্ধু এস এম ওয়াই আব্দুল্লাহ ফরহাদকে ( ৪৭ ) আটক করা হয়। রাতেই আটক দুজনকে কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় নিয়ে আসা হয়। সেখানে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে এই হত্যাকাণ্ডে তাদের সংশ্লিষ্টতার তথ্য পাওয়া যায়।
জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে পুলিশ সুপার জানান, পারিবারিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে স্বামীর সঙ্গে দাম্পত্য কলহ ছিল শিমুর। দাম্পত্য কলহের জেরে গত ১৬ জানুয়ারি সকাল ৭টা-৮টার মধ্যে যেকোনও সময় খুন হন। পরে লাশটি যে গাড়িতে করে নিয়ে গিয়ে সেখানে ফেলে রেখে আসা হয়, সেই গাড়িটি জব্দ করে থানায় নিয়েছি।
নোবেল এবং তার বাল্যবন্ধু ফরহাদ বর্তমানে থানা হেফাজতে আছে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘মাত্র ২৪ ঘণ্টার মধ্যে চাঞ্চল্যকর এই হত্যা মামলার মূল রহস্য উদঘাটন করা সম্ভব হয়েছে । এ ঘটনায় কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা রুজু প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।’
আগামীনিউজ/বুরহান