পানামা পেপারস কেলেঙ্কারি: জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ঐশ্বরিয়াকে তলব

বিনোদন ডেস্ক ডিসেম্বর ২০, ২০২১, ০১:৫৮ পিএম
ছবিঃ সংগৃহীত

ঢাকাঃ পানামা পেপারস  কেলেঙ্কারিতে বিপাকে পড়েছে বচ্চন পরিবার। এ মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চনকে তলব করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। বিদেশে সম্পদ রাখার জন্যই এই অভিনেত্রীকে তলব করা হয়েছে। সোমবার (২০ ডিসেম্বর) তাকে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দপ্তরে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে।

ভারতীয় একটি সংবাদমাধ্যম এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, পানামা কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্তদের তালিকায় সবার উপরে নাম রয়েছে বলিউড শাহেনশাহ অমিতাভ বচ্চনের। এ তালিকায় রয়েছেন ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চনও। বেশ কিছুদিন ধরে ইডি এবং আয়কর বিভাগ পানামা পেপার্স কাণ্ডের তদন্ত করছে। ভারতের পাশাপাশি বিদেশেও পাঠানো হয়েছে তদন্তকারী দল। আর এজন্য ঐশ্বরিয়াকে তলব করেছে ইডি।

এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরের (ইডি) সূত্রের বরাত দিয়ে অন্য একটি সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগেও দুইবার ঐশ্বরিয়াকে তলব করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ইডি। কিন্তু দু’বারই বচ্চন পরিবারের বধূ তদন্তকারীদের চিঠি দিয়ে নিষ্কৃতির আবেদন করেছিলেন। সেই আবেদন গ্রহণও করেছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। কিন্তু এবার ঐশ্বরিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় ইডি। আর সে কারণেই আজ (২০ ডিসেম্বর) তাকে তলব করা হয়েছে। ঐশ্বরিয়ার বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট কিছু অভিযোগ রয়েছে। আর এসব নিয়েই তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। যদিও ঐশ্বরিয়া হাজিরা দেবেন কিনা তা এখনো স্পষ্ট নয়।

‘পানামা পেপারস’ হল ১ কোটি ১৫ লাখ গোপন নথি, যা ২০১৬ সালের এপ্রিল মাসে ফাঁস হয়েছিল। বিভিন্ন দেশের অনেক মানুষ বিদেশে কত পরিমাণ সম্পত্তি গচ্ছিত রেখেছেন, তা নিয়ে তথ্য প্রকাশ করা হয়েছিল সে সময়। নথিগুলোর কিছু ১৯৭০-এর দশকের। পানামার একটি ল’ ফার্ম এবং করপোরেট পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থা মোসাক ফনসেকা এই নথি তৈরি করেছিল। মূলত কর ফাঁকি দেওয়ার জন্যই বিদেশে সম্পদ গচ্ছিত রাখা হয়েছিল বলে দাবি করা হয়।

পানামা পেপারে নাম থাকায় আদালতের নির্দেশে পাকিস্তানে প্রধানমন্ত্রিত্ব খোয়াতে হয়েছে নওয়াজ শরিফকে। অমিতাভ বচ্চনসহ বেশ কিছু বিশিষ্ট ভারতীয়ের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করার কথা জানিয়েছিল নরেন্দ্র মোদি সরকার।

পানামা পেপারের দ্বিতীয় দফার তথ্য প্রকাশ্যে আসতেই কেন্দ্র জানিয়েছিল, বিষয়টির ওপর তারা নজর রাখছে। সরকারের পক্ষে খবর, প্রথম পর্যায়ের পানামা পেপারের তথ্যের ভিত্তিতে বিভিন্ন তদন্ত সংস্থা ৭৪টি মামলা করে তদন্ত শুরু করে। এর মধ্যে ৬২টির ক্ষেত্রে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া গেছে। ফলে সরকার ১১৪০ কোটি টাকার অঘোষিত সম্পত্তি চিহ্নিত করতে পেরেছে। এরপর এই মামলা সম্পর্কে খবর তেমনভাবে প্রকাশ্যে আসেনি। ঐশ্বরিয়াকে তলব করার মধ্য দিয়ে ফের তা প্রকাশ্যে এলো। সূত্র: আনন্দবাজার, সংবাদ প্রতিদিন

আগামীনিউজ/নাসির