ঢাকাঃ পরীমণিকে আটকের পর রাজ মাল্টিমিডিয়ার সত্বাধিকারী নজরুল ইসলাম রাজের বনানীর ৭ নম্বর রোডের ৪১ নম্বর বাসায় অভিযান চালাচ্ছে র্যাব।
এরআগে, সন্ধ্যায় বাংলা চলচ্চিত্রের আলোচিত নায়িকা পরীমণির বাসায় প্রায় ৪ ঘণ্টা র্যাবের অভিযানের পর রাত সাড়ে ৮টার দিকে তাকে আটক র্যাব-১ এর সদরদফতরে নিয়ে যাওয়া হয়। এ সময় তার বাসা থেকে বিপুল পরিমাণ মাদক উদ্ধার করা হয়েছে। বুধবার (৪ আগস্ট) বিকেল ৪টার দিকে তার বাসায় অভিযান শুরু করে র্যাব-১ ও র্যাব সদর দপ্তরের একাধিক টিম।
র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, ‘সুনির্দিষ্ট কিছু অভিযোগের ভিত্তিতে তার বাসায় অভিযান চালানো হচ্ছে, বিস্তারিত পরে জানানো হবে।’
সরেজমিনে দেখা গেছে, পরীমনিকে আটকের খবর পেয়ে তার বাসার সামনে ভিড় জমিয়েছে হাজারো মানুষ। করোনা পরিস্থিতিতে এমন উৎসুক জনতার ভিড় ঠেকাতে পরীমণির বাসার সামনে মাইকিং করছেন বনানী সোসাইটি।
র্যাবের বেশির ভাগ সদস্য পরীমনির বাসার নিচে গ্যারেজে অপেক্ষা করছেন। বাসার মূল ফটক লাগিয়ে দিয়ে ভেতর থেকে বাইরে বা বাইরে থেকে ভেতরে কাউকেই প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না।
এর আগে বিকেল ৪টার দিকে ফেসবুক লাইভে এসে পরীমনি বলেন, ‘কারা যেন আমার বাসায় ঢোকার চেষ্টা করছে। কেউ কালো কাপড় পরে আছেন, কেউ রঙিন কাপড় পরে আছেন। এরা কারা ভাই? আমি লাইভ কাটছি না।’ পরীমনি বলেন, ‘পুলিশ হলে তো দরজা খুলেই দেব। কিন্তু তারা তো পরিচয় দিচ্ছে না। মেরে ফেললে সবার সামনে মেরে ফেলে যাক। আমি লাইভ কাটব না। সবাই দেখুক। সবাইকে দেখায় দেব, এরা কী কী করে।’
এ সময় পরীর বাসার দরজা ধাক্কার শব্দ পাওয়া যায়। পরীমনি বলেন, ‘ভাই আপনারা কিছু দেখতেসেন না, কিছু বলতেসেন না। আমি যে কী পরিমাণ সিক। তিন দিন ধরে বিছানা থেকে উঠতে পারছি না। আমার পরিচিতরা কী আসবেন? একটু দেখবেন, এরা কারা। লিটারেলি আমার দরজা ভাঙচুর করতেসে।’
পরীমনি দীর্ঘদিন ধরে আলোচনায় রয়েছেন। কিছুদিন আগে ঢাকার সাভারের বোটক্লাবে যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছেন অভিযোগ করে আলোচনায় আসেন তিনি। সে ঘটনায় কয়েকজন গ্রেপ্তারও হয়েছিলেন, তারা আবার জামিনও পেয়ে গেছেন। এর মধ্যেই আবার একাধিক ক্লাবে পরীমনির ভাঙচুরের অভিযোগ করেন সংশ্লিষ্টরা।