দর্শকদের ভালোবাসা পেতে চাই: প্রিয়মনি

নিজস্ব প্রতিবেদক মে ২৪, ২০২১, ০২:৪৫ পিএম
সংগৃহীত

বিনোদন ডেস্কঃ তিন বোনের সবার ছোট তিনি। পরিবারের মানুষরা আহ্লাদী মেয়েটিকে একটু বেশি ভালোবাসে। মনি বলেই ডাকেন তারা। কেউ আবার ডাকেন প্রিয়। এভাবেই তার নাম হয়ে যায় প্রিয়মনি। দেশীয় চলচ্চিত্র একজন সম্ভাবনাময়ী মুখ তিনি।

৫ ফুট ৮ ইঞ্চি উচ্চতার প্রিয়মনির স্বপ্ন ছিল পুলিশ অফিসার হওয়ার। পড়াশোনা সেভাবেই এগিয়ে নিচ্ছিলেন তিনি। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে বিবিএ পঞ্চম সেমিস্টারের পড়ছেন। বছর দেড়েক আগে শখের বসে র‍্যাম্পের ঝলমলে মঞ্চে পা রাখেন। সেটি খুব বেশিদিন আগের কথা নয়। নিজেকে ফিট রাখার জন্য নিয়মিত করেন জিম।

র‍্যাম্প আর পড়াশোনা করেই কাটছিল প্রিয়মনির দিন। একদিন চ্যানেল আইতে একটি সাক্ষাৎকার দিতে যান। সেখানেই ইমপ্রেস টেলিফিল্ম ও চ্যানেল আইয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফরিদুর রহমান সাগরের সঙ্গে তার সাক্ষাৎ। সেই পরিচয়ের সূত্র ধরেই প্রস্তাব পান চলচ্চিত্রে কাজের। ছবির নাম ভালোবাসার প্রজাপতি। যেখানে একজন ফ্যাশন মডেলের ভূমিকায় দেখা যাবে তাকে।

প্রিয়র ভাষ্য, তার মতো একজন গুণী মানুষের কাছে থেকে চলচ্চিত্রে কাজের প্রস্তাব পেয়ে কী করবো বুঝে উঠতে পারছিলাম না। বিষয়টি নিয়ে বাবার সঙ্গে কথা বলি। সব কিছু শুনে তিনিও আপত্তি করেননি। ছবিটির এখনো গান ও কিছু দৃশ্যধারণ বাকি রয়েছে।

সোশ্যাল মিডিয়াতে সরব প্রিয়মনি। সেখানেই নিজের নাচের ভিডিও পোস্ট করেছিলেন। ওই ভিডিওটি পরিচালক অনন্য মামুনের এক সহকারীর নজরে আসে। পরিচালক তখন তার নতুন চলচ্চিত্রের জন্য নায়িকা খুঁজছিলেন। প্রিয়র সেই নাচ দেখে মুগ্ধ হন মামুন। নিজে থেকেই যোগাযোগ করেন, দেন নায়িকা হওয়ার প্রস্তাব।

প্রিয়মনি নাচ শিখেছেন। এক্ষেত্রে সিদ্ধ হস্ত তিনি। র‍্যাম্পে হাঁটায় গ্লামার প্রদর্শন ও সাহসী পোশাকে সাবলীল। কিন্তু অভিনয়ের ক্ষেত্রে কী কোনো প্রস্তুতি ছিল? নায়িকার সোজা উত্তর, আমার কাছে মনে হয় অভিনয় শেখার কিছু নেই, এটা গড গিফটেড। আমি ছোট বেলা থেকে শাবানা ম্যাম, ববিতা ম্যাম, শাবনূর ম্যামের অন্ধ ভক্ত। বাংলা চলচ্চিত্র দেখেই বড় হওয়া। শাবনূর ম্যামকে এখনো সামনে দেখার সুযোগ হয়নি। যদি কোনোদিন সুযোগ হয় এক ঘণ্টা তাকে জড়িয়ে ধরে রাখবো।

প্রেম বিয়ের প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রেম, বিয়ের কথা এখনই ভাবছি না। আর হ্যাঁ, প্রেমটা আপাতত আমি অভিনয়ের সঙ্গেই করতে চাই। দর্শকদের ভালোবাসা পেতে চাই।