ঢাকাঃ পরীমনি খুশি। শুধু খুশি না, বেজায় খুশি। এই খুশি কোনো নিক্তি দিয়ে পরিমাপ করা যাবে না। ফেসবুকে প্রকাশিত ছবি দেখে তেমনটাই অনুমেয়।
কিন্তু এত খুশি কেনো পরীমনি? প্রশ্নের উত্তরে জানালেন নস্টালজিয়ায় ভেসে বেড়ানো এক অনুভূতির কথা। সেই অনুভূতি যেন করোনার ভীতিকর পরিস্থিতিতে স্বস্তির বার্তা দিচ্ছে।
ছোটবেলায় টেলিভিশনে হাঁস মার্কা গন্ধরাজ তেলের বিজ্ঞাপন দেখতেন পরী। সেই বিজ্ঞাপনটি তাকে এতটাই টানত যে, মাঝে মাঝে তো নিজেই সেই বিজ্ঞাপনের মডেলরূপে অভিনয় করতেন। ছোটবেলার সেই সুপ্ত বাসনা যে বড়বেলায় এসে ধরা দেবে, তা হয়ত পরী ঘুনাক্ষরেও ভাবেননি। অবাক করে দিয়ে প্রসাধনী পণ্যটির শুভেচ্ছা দূত হওয়ার প্রস্তাব আসে তার কাছে। কোনোরকম সাত-পাঁচ না ভেবে প্রস্তাব লুফে নেন এই ঢালিউড সুন্দরী। বুধবার চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন নিজ বাসায়। আর তাই তো স্বপ্ন সত্যি হওয়ার আনন্দে ভাসছেন তিনি।
গণমাধ্যমকে পরী বলেন, “শুধু আমি নই। আমার তো মনে হয় বাংলার সকল নারীর মনেই বেঁচে আছে একটি চিরচেনা সাদা রাজহাঁস! মানে হাঁস মার্কা গন্ধরাজ তেলের কথা বলছি। ছোটবেলায় এই তেলটির ঘ্রাণ আর বিজ্ঞাপন—কী যে ভালো লাগতো! এখনও টিভি বা রেডিওতে এই নামটি কানে এলে ঘুরে তাকাই। স্মৃতিকাতর হই।”
এদিকে পরীর বৃহস্পতি এখন তুঙ্গে। তার হাতে রয়েছে কয়েকটি বড় বাজেটের সিনেমা। সামনে মুক্তি পাচ্ছে রায়হান জুয়েলের বিশেষ ছবি ‘অ্যাডভেঞ্চার অব সুন্দরবন’। শুটিং বাকি আছে রাশিদ পলাশের ‘প্রীতিলতা’ ও সঞ্জয় সমদ্দারের ‘বায়োপিক’। এই ছবিগুলোতে পরীকে বিভিন্ন ব্যতিক্রম চরিত্রে দেখা যাবে।
আগামীনিউজ/নাসির