ঢাকাঃ পরী তখন পিরোজপুর ভগিরাতপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণিতে পড়েন। তার নানা ছিলেন ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক। তাই স্কুলে নায়িকার দাপটটাও ছিল বেশি। একদিন জুলিয়া নামের এক বান্ধবীর কাছে তিনি জানতে পারেন, পাশের গ্রামের এক যুবক পরীকে পছন্দ করে। পরীকে সে আপন করে পেতে চায়।
অভিনেত্রীয় কথায়, ‘এরপর খেয়াল করে দেখলাম, একটা ছেলে মোটরসাইকেল নিয়ে দূরে দাঁড়িয়ে আছে। এভাবে একদিন, দুইদিন করে বেশ কিছুদিন চলে গেল। প্রতিদিন ছেলেটিকে এভাবে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে মায়া হলো। সিদ্ধান্ত নিলাম, ছেলেটির সঙ্গে কথা বলব। হঠাৎ একদিন ছেলেটি জুলিয়াকে দিয়ে একটা কার্ড পাঠায়। সেখানে রক্ত দিয়ে লেখা, ‘আই লাভ ইউ’।’
জীবনে প্রথমবার প্রেমের প্রস্তাব পেয়ে, তাও আবার রক্তে লেখা কার্ডে- কেমন লেগেছিল পরীমনির। সেই অনুভূতির কথা অবশ্য জানাতে নারাজ নায়িকা। তিনি বলেন, ‘এ অনুভূতি আমার নিজের কাছেই থাক। ভালো লাগার কিছু মুহুর্ত নিজের ভেতর জিউয়ে রাখতে আলাদা আনন্দ আছে। বিরহ বা মজার আনন্দ।’
শুধু তাই নয়, রক্তে লেখা কার্ডে প্রেমের প্রস্তাব পাওয়ার পর ওই যুবকের সঙ্গে কোনো সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল কি না, সে সম্পর্কেও কিছু খোলাসা করেননি পরীমনি। হয়তো আবার কোনও এক ভালোবাসার দিনে অজানা সেই কথা জানাবেন। সেই অপেক্ষায় নায়িকার ভক্তরা।
আগামীনিউজ/এএস