ঢাকাঃ জেলেই বন্দি থাকতে হচ্ছে রিয়া চক্রবর্তীর। আবারও বাড়লো সুশান্ত মৃত্যু মামলার মূল অভিযুক্তের বিচার-বিভাগীয় হেফাজতের মেয়াদ।
গতকাল মঙ্গলবার (৬ অক্টোবর) শেষ হচ্ছিল সুশান্ত মৃত্যু মামলার সঙ্গে জড়িত মাদককাণ্ডে গ্রেফতার রিয়া চক্রবর্তীর বিচার-বিভাগীয় হেফাজতে থাকার মেয়াদ (সঙ্গে তার ভাই শৌভিক চক্রবর্তী’সহ ১৭ জনেরও)। এদিন বিশেষ এনডিপিএস আদালত রিয়া, শৌভিকের হেফাজতের মেয়াদ বাড়িয়ে দিল আগামী (২০ অক্টোবর) পর্যন্ত।
এই মুহূর্তে তালজা জেলে বন্দি রয়েছেন শৌভিক চক্রবর্তী, তথা সুশান্তের হাউজ ম্যানেজার স্যামুয়েল মিরান্ডা এবং পরিচারক দীপেশ সাওয়ান্ত। সকলেরই বিচার-বিভাগীয় হেফাজতের মেয়াদ বাড়িয়ে দিয়েছে সেশন কোর্ট।
সুশান্তের মৃত্যু মামলার সঙ্গে জড়িত অর্থদ্বন্দ্বের মামলার তদন্তে নেমে রিয়ার মাদককাণ্ডের বিষয়টি উঠে আসে ইডির হাতে। এরপর অ্যানফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের আবেদনে সাড়া দিয়ে এই মামলার তদন্তে নামে নার্কোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো। এরপর তৃতীয় দিন জেরার সময় (৮ সেপ্টেম্বর) এনসিবির হাতে গ্রেফতার হন রিয়া চক্রবর্তী। তারও আগে গ্রেফতার হয়েছিলেন রিয়ার ভাই শৌভিক চক্রবর্তী।
সুশান্তের জন্য মাদক সংগ্রহ করতেন রিয়া ও শৌভিক। চলত আর্থিক লেনদেনও। তাই এনডিপিএস আইনের ২৭ (এ) ধারায় এই ভাই-বোনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে এনসিবি। সেশন কোর্টে আগেই খারিজ হয়েছে রিয়া-শৌভিকের জামিনের আবেদন। এরপর হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন অভিযুক্ত ভাই-বোনের আইনজীবী সতীশ মানেসিন্ধে।
গত (২৯ সেপ্টেম্বর) হাইকোর্টে প্রায় ৭ ঘণ্টা ধরে জাস্টিট এস পি কোটওয়াল বেঞ্চে চলে রিয়া-শৌভিকদের জামিনের শুনানি। যদিও জামিনের রায় সংরক্ষিত রেখেছে হাইকোর্ট। নার্কোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর তরফে লাগাতার অভিযুক্তদের জামিনের বিরোধিতা করা হয়।
হাইকোর্টে এনসিবি স্পষ্ট জানায়, রিয়া ও শৌভিক মাদক চক্রের সক্রিয় সদস্য, যাদের হাই সোসাইটির ব্যক্তিদের সঙ্গে যোগ রয়েছে। তাই, মাদক পাচারকারীদের সঙ্গে তাদের জামিন দেওয়াটা তদন্তের গতিকে বাধাপ্রাপ্ত করতে পারে।
গত ৩০ সেপ্টেম্বর হাইকোর্টে রিয়া-শৌভিকের জামিনের শুনানি শেষে বিচারপতি নিজের রায় সংরক্ষিত রেখে বলেন, ‘দ্রুত এই শুনানির রায় দানের চেষ্টা করবো। তবে আপনারা যেমনটা জানেন- এই মামলা অনেক গভীর এবং অনেক বিষয় আলোচনা করার দরকার রয়েছে।
আগামীনিউজ/জেহিন