এখন ঘরে খাবার রাখার জায়গা নেই। যে আমি দুদিন আগে খাবার না থাকায় উপোষ থেকেছি, সেই আমি আজ আশপাশের অসচ্ছল মানুষের সহায়তায় প্রয়োজনের অতিরিক্ত খাবার খাবার বিলি করছি বলেছেন আকবর।
করোনার এই সংকট সময়ে দু’দিন আগেও ঘরে খাবার ছিলো না রিক্সাচালক থেকে গায়ক হিসেবে প্রতিষ্ঠা পাওয়া কণ্ঠশিল্পী আকবরের। স্ত্রী, কন্যা নিয়ে অনিশ্চিত ভবিষ্যতের কথা ভেবে মুষড়ে পড়েছিলেন তিনি। তার দুর্দশা নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ পায় বিভিন্ন গণমাধ্যেমে। এরপর থেকে পাল্টে যায় সবকিছু!
দু’দিন আগেও উপোষ থাকা সেই আকবরের ঘরে এখন পর্যাপ্ত খাবার, ঔষধ ও টাকা মজুদ রয়েছে! তারচেয়ে বড় কথা, নিজেদের জন্য মজুদ রেখে বাড়তি জিনিষ অসচ্ছল পড়শিদের মাঝে বিতরণ করছেন আকবর ও তার পরিবার।
আকবর বলেন, চাল, ডাল, আলু, পেয়াজ, তেল সবকিছুই পেয়েছি। বিভিন্নজন বিভিন্নভাবে হেল্প করেছেন। নিজের জন্য দুমাসের রেখে বাকিটা যারা অভাবে আছেন তাদের দিয়ে দিচ্ছি। কয়েকজনের কাছ থেকে নগদ অর্থ পেয়েছি তাই দিয়ে ঔষধ কিনেছি, ঘর ভাড়া দিয়েছি। পরিচয় গোপন রেখে কেউ কেউ আবার আমার বিকাশে টাকা পাঠিয়েছেন। এখন পুরোপুরি স্বস্তি পাচ্ছি।
আকবরের স্ত্রী কানিজ ফাতিমা সীমা বলেন, ছয় মনের মতো চাল পেয়েছি। ১০ কেজির মতো তেল পেয়েছি। সাবান, আটা, ছোলা, আলু, মসলা সবকিছুই বেশি বেশি পেয়েছি। আমরা আমাদের প্রয়োজন মতো রেখে বাকিটা বাড়িওয়ালা ডেকে তার মাধ্যমে প্রতিবেশীদের দিয়েছি। এছাড়া নগদ টাকা থেকে ফেব্রুয়ারি মাসের ১৩ হাজার টাকা ঘর ভাড়া দিয়েছি। ওই সংবাদের পর মেয়র আতিক সাহেব, নায়ক ওমর সানী ভাই এবং একজন কমিশনারও আমাদের সাথে যোগাযোগ করেছেন। এখন সবকিছু ঠিক আছে। আমরা কৃতজ্ঞ।
আকবর বলেন, যতবার বিপদে পড়েছি মানুষ আমাকে সাহায় করেছেন আমার সরলতা এবং সততার জন্য। খুব বেশি লেখাপড়া আমি জানিনা। সেই রিক্সা চালানো জীবন থেকে আমি আজকের আকবর হয়েছি শুধুমাত্র মানুষের কারণে। আমার দুঃখের সময় সবসময় মানুষের দোয়া পেয়েছি। গতবছর যখন মৃতপায় ছিলাম তখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমার চিকিৎসার দায়িত্ব নিয়েছিলেন।
আগামীনিউজ/বাবুল