ঢাকা: কুমিরের মাংস আর জেব্রা স্টেক খেয়েছেন নন্দিত নির্মাতা সৃজিত মুখোপাধ্যায়। দিন কয়েক হয়েছে বড়পর্দায় ‘কাকাবাবুর প্রত্যাবর্তন’ ঘটাতে আফ্রিকা পাড়ি দিয়েছেন জনপ্রিয় এই পরিচালক। গোটা ইউনিটের সঙ্গে তাঁর সঙ্গী ‘কাকাবাবু’ প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় এবং ‘সন্তু’ আরিয়ান ভৌমিক।
মহরৎও সেরে নিয়েছেন রিসেপশনের আগের দিন প্রযোজনা সংস্থা এসভিএফের অফিসে। তা কেমন চলছে মুখুজ্যেবাবুর আফ্রিকা সফর? তার ঝলক মিলল পরিচালক মশাইয়ের ইনস্টাগ্রামেই। আদতে খাদ্যরসিক তিনি। আর সেই খাদ্যপ্রেমের মাত্রা কতটা, মিলল তার ইঙ্গিত! কুমিরের মাংস থেকে জেব্রা স্টেক, বাদ রাখলেন না কিছুই।
সে আবার কী! বিশ্বজুড়ে যখন করোনা ত্রাসে কাঁপছে সবাই, খাবার পাত থেকে মাছ-মাংস প্রায় উঠে গিয়েছে বললেই চলে, মুরগির মাংসের নাম শুনেই সবাই দু’হাত দূরে পালাচ্ছে, সেখানে আফ্রিকায় গিয়ে সৃজিত কিনা কুমিরের মাংস আর জেব্রা স্টেকে কবজি ডুবিয়েছেন! অবাক হয়েছেন অনেকেই। সাবধানবাণীও দিয়েছেন সোশ্যাল মিডিয়ার কমেন্ট সেকশনে।
তবে খাদ্যরসিক মানুষ, ওসব বললে কী আর চলে! সৃজিত যেখানেই যান সেখানকার স্থানীয় খাবার চেখে দেখা তাঁর অভ্যেস। এবার ‘কাকাবাবুর’ সিকুয়েলের শুটিং করতে গিয়েও তার অন্যথা হয়নি। কাজের ফাঁকে দিব্যি ঢুঁ মেরেছেন সেখানকার রেস্তরাঁগুলিতে। সেখানকারই ‘কার্নিভোর দ্য রেস্টুরেন্ট’ নামে এক রেস্তরাঁয় গিয়ে গ্রিল করা কুমিরের মাংস, জেব্রার স্টেক খেয়েছেন। শুয়রের ঠ্যাংও অবশ্য সেখানকার মেনুতে রয়েছে। তবে মুখুজ্জ্যেবাবু সেই পদ চেখে দেখেছেন কিনা, তা জানা নেই।
এদিকে পুরোদমে চলছে আপাতত ‘কাকাবাবুর প্রত্যাবর্তন’। সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের লেখা ‘জঙ্গলের মধ্যে এক হোটেল’ গল্প অবলম্বনে তৈরি হচ্ছে ‘কাকাবাবুর প্রত্যাবর্তন’। কেনিয়ার জঙ্গলেই হবে সিংহভাগ ছবির শুটিং।
আগামীনিউজ/বিআর