ঢাকা: রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় বরেণ্য অভিনেতা তাপস পালের শেষকৃত্য বিকেলে সম্পন্ন হবে। মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রূয়ারি) রাতে তার দেহ মুম্বাই থেকে কলকাতায় আনা হয়। সারারাত বাড়িতেই ছিল অভিনেতার দেহ। বুধবার বেলা ১১টা নাগাদ বাড়ি থেকে দেহ নিয়ে যাওয়া হবে রবীন্দ্রসদনে। বিকেলে কেওড়াতলা মহাশ্মশানে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় অভিনেতার শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে।
মঙ্গলবার ভোর ৩.১৫ মিনিট নাগাদ মুম্বইয়ের একটি বেসরকারি হাসপাতালে প্রয়াত হন তিনি। এদিন রাতে তার দেহ নিয়ে আসা হয় কলকাতায়। সঙ্গে ছিলেন শোকাহত স্ত্রী নন্দিনী পাল। ছিলেন অন্য আত্মীয় পরিজনরাও। বিমানবন্দর থেকে অভিনেতার দেহ নিয়ে যাওয়া হয় তাঁর বাড়িতে। সারারাত বাড়িতেই ছিল দেহ।
বুধবার সকাল ১১টা নাগাদ তার দেহ নিয়ে যাওয়া হবে রবীন্দ্রসদনে। সেখানে অভিনেতাকে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করবেন বিশিষ্ট ব্যক্তিরা। অনুরাগীরাও এদিন শ্রদ্ধা জানাতে পারবেন তাদের প্রিয় নায়ককে। তারপর কেওড়াতলা মহাশ্মশানে পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে।
১ ফেব্রুয়ারি মেয়ের কাছে যাওয়ার জন্য বিমানবন্দর পৌঁছেছিলেন তিনি। তখনই আচমকা অসুস্থ হয়ে পড়েন। সঙ্গে সঙ্গে তাকে ভর্তি করা হয় মুম্বাইয়ের হাসপাতালে। প্রায় দু’সপ্তাহ ধরে হাসপাতালেই ছিলেন তাপস পাল। কিন্তু তার শারীরিক অবস্থার খুব একটা উন্নতি হয়নি।
মঙ্গলবার ভোররাতে দ্বিতীয়বার কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয় তার। তখনই তিনি মারা যান। তাঁর মৃত্যুসংবাদে শোকস্তব্ধ টলিউড। সন্ধ্যা রায়, মাধবী মুখোপাধ্যায়, সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়, প্রসেনজিৎ-ঋতুপর্ণা থেকে নব প্রজন্মের দেব, মিমি, নুসরত, সোহম, পায়েল সকলেই শোকপ্রকাশ করেছেন অভিনেতার মৃত্যুতে। বলিউড অভিনেত্রী মাধুরী দীক্ষিতও স্মরণ করেন তাঁর কেরিয়ারের প্রথম অভিনেতা তাপস পালকে।
ভূমিপুত্র তাপস পালের মৃত্যুতে গোটা চন্দননগরজুড়ে বিষাদের সুর। অভিনেতাকে নিয়ে বিভিন্ন সময়ে চন্দননগরে নানা বিতর্ক দেখা দিলেও আজকের এই শোকের দিনে সমস্ত কিছু ভুলে চন্দননগরবাসী তাদের ঘরের ছেলের প্রয়াণে শোকে মূহ্যমান।
শোক সংবাদ পাওয়ার পর থেকেই তাপস পালের চন্দননগরের বাসভবনের কাছে ভীড় জমিয়েছেন অসংখ্য মানুষ। সকলেই চাইছেন এই বাড়ি থেকেই যখন ‘তাপস পাল’ হয়ে ওঠা, তখন একবারটি তাঁর মরদেহ নিয়ে আসা হোক এই পাড়ায়। এই বাড়িতে। কিন্তু পরিবারের পক্ষ থেকে সেরকম কোনও পরিকল্পনার কতা জানা যায়নি।
আগামীনিউজ/বাবুল