দেরিতে শুরু হলেও এইচএসসির ফল ৬০ দিনের মধ্যেই: শিক্ষামন্ত্রী

আগামী নিউজ প্রতিবেদক আগস্ট ১৭, ২০২৩, ১১:০০ এএম

ঢাকাঃ বন্যার কারণে এবার তিনটি শিক্ষা বোর্ডের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা ১০ দিন পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। এর ফলে নির্ধারিত ৬০ দিনের মধ্যে ফল প্রকাশ সম্ভব হবে কি না, সে বিষয়ে আশঙ্কা দেখা দিয়েছিল। তবে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি নিশ্চিত করেছেন, তিন বোর্ডের পরীক্ষা পেছালেও বাকি ৮ বোর্ডের সাথে মিলিয়ে ৬০ দিনের মধ্যেই প্রকাশ করা হবে।

বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) সকালে এইচএসসি পরীক্ষা শুরুর প্রথম দিনে রাজধানীর তেজগাঁও কলেজ কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা জানান। 

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমরা পরীক্ষার ফল ৬০ দিনের মধ্যেই প্রকাশ করব, ইনশাআল্লাহ। যাদের আগে পরীক্ষা শুরু হয়েছে, তাদের তো ৬০ দিনের মধ্যেই ফল প্রকাশিত হবে। আর যাদের দেরিতে শুরু হবে, তাদের ফলও ৬০ দিনের মধ্যে শেষ করার চেষ্টা করছি।

মন্ত্রী বলেন, দেশে ডেঙ্গু মহামারি বাড়লেও ডেঙ্গু আক্রান্ত পরীক্ষার্থীদের জন্য পরীক্ষা কেন্দ্রে বিশেষ ব্যবস্থা রয়েছে। সব পরীক্ষা কেন্দ্রেই ডেঙ্গু আক্রান্ত পরীক্ষার্থীর জন্য চিকিৎসাসহ বিশেষ ব্যবস্থা রয়েছে।

এদিকে ২০২৪ সালের এসএসসি পরীক্ষা ফেব্রুয়ারিতে এবং এইচএসসি এপ্রিলে অনুষ্ঠিত হবে জানান শিক্ষামন্ত্রী।

তিনি বলেন, করোনাভাইরাস মহামারি ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে গত দুই-তিন বছর আমাদের একাডেমিক ক্যালেন্ডার একটু এলোমেলো হয়েছে। আগামী বছর থেকে এটা ঠিক হয়ে যাবে আশা করি। আগামী বছর আমরা চেষ্টা করবো এইচএসসি পরীক্ষায় এপ্রিলে এবং এসএসসি পরীক্ষা ফেব্রুয়ারিতে নেওয়ার। সে অনুযায়ী ক্লাসে পাঠদান করানো হবে।

তিনি বলেন, দেশের কোনো পাবলিক পরীক্ষায় গত পাঁচ বছরে কোনো প্রশ্ন ফাঁস হয়নি। যা ছড়িয়েছে সেগুলো সবই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। এগুলোর সবই গুজব।

দীপু মনি বলেন, ২০১৫ সালের পর থেকে আমরা প্রশ্নফাঁস রোধে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় থেকেছি। এজন্য কোনো প্রশ্নফাঁসের ঘটনাও ঘটেনি। আশা করি এবারের এইচএসসি পরীক্ষাতেও এ ধরনের কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটবে না। যদি কেউ গুজব ছড়ানোর চেষ্টা করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সর্বোচ্চ কঠোর অবস্থানে থেকে ব্যবস্থা নেবে।

আজ শুরু হয়েছে দেশের ৮টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডে এইচএসসি পরীক্ষা। প্রথম দিনে বাংলা প্রথমপত্রের পরীক্ষা চলছে। এ পরীক্ষা শেষ হবে দুপুর ১টায়। ৮টি বোর্ডের ১ হাজার ৩৮৪টি কেন্দ্রে পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন ১০ লাখেরও বেশি পরীক্ষার্থী।

এ বছর একটি বিষয় ছাড়া সব বিষয়ে পূর্ণ নম্বর ও পূর্ণসময়ে পরীক্ষা হবে। শুধুমাত্র আইসিটি বিষয়ে ১০০ নম্বরের পরিবর্তে ৭৫ নম্বরের পরীক্ষা হবে। শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী- এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিক্ষা বোর্ডগুলো।

অন্যদিকে প্রশ্নফাঁস ও নকলমুক্ত পরীক্ষা অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে নানান উদ্যোগ নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং শিক্ষা বোর্ডগুলো। এরমধ্যে অন্যতম, কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখা। গত ১৪ আগস্ট থেকে সারাদেশে সব ধরনের কোচিং সেন্টার বন্ধ রয়েছে। আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কোচিং বন্ধ রাখা হবে।

বৃহস্পতিবার থেকে দেশের ১১টি শিক্ষা বোর্ডে একযোগে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরুর কথা ছিল। এ পরীক্ষা অংশ নিতে মোট ১৩ লাখ ৫৯ হাজার ৩৪২ জন পরীক্ষার্থী ফরম পূরণ করেন। তবে বন্যার কারণে চট্টগ্রাম, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়া হয়। চারটি বিষয়ের পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়ায় আগামী ২৭ আগস্ট এ তিন বোর্ডের পরীক্ষা শুরু হবে।

বুইউ