যখন কোনো মেয়ে ধর্ষিত হয় তখন পরিবার তাকে নিগৃহীত করে। আর পারিবারিক এই নিগৃহীতের কারণে যৌন হয়রানি বাড়ছে বলে মনে করেন শিক্ষামন্ত্রী ড. দীপু মনি।
বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে ‘বাংলাদেশ এডুকেশন রিপোর্টার্স ফোরামের (বিইআরএফ)’ বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানে ‘শিক্ষার পরিবেশ ও শিক্ষার্থীর সার্বিক নিরাপত্তা : আমাদের করণীয়’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, যখন কোনো মেয়ে/নারী ধর্ষণের শিকার হয় তখন পরিবার থেকে তাকেই দোষারোপ করে। মেয়ের পরিচয় দিতে নানা সংকোচবোধ করে। তাকে নিগৃহীত করে। আর পারিবারিক এই নিগৃহীতের কারণে যৌন হয়রানি বাড়ছে।
পরিবারকে উদ্দেশ্য করে মন্ত্রী বলেন, পরিবারের সকল সদস্য আর দশটা সমস্যায় যেভাবে পাশে দাঁড়ায়, সাপোর্ট দেয়, ঠিক তেমনি এই সমস্যাগুলোতে আরো বেশি পাশে থেকে তাকে সাপোর্ট করতে হবে।
তিনি বলেন, দর্শন বা হয়রানির মতো এমন ঘটনা যেন আর না ঘটে তার জন্য সারা বাংলাদেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে ডিজিটাল মনিটরিংয়ের আওতায় আনার চেষ্টা করছি। এর জন্য প্রতিটি জেলায় বা উপজেলায় একজন করে কাউন্সিলর নিয়োগ করা হবে। যাতে করে প্রতিটি স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা কাউন্সিলিং পায়।
ইতিমধ্যে সচেতনতামূলক কার্টুন প্রকাশ করা হয়েছে। যাতে করে স্কুলের শিক্ষার্থীরা কার্টুন দেখে সহজেই সচেতন হতে পারে। এছাড়া দেশের ৩৩ হাজার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এই সচেতনতামূলক কার্টুন প্রদর্শনীর কাজ চলছে।
মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক। আরো উপস্থিত ছিলেন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক প্রফেসর গোলাম ফারুক, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের পরিচালক প্রশাসন ও কলেজ শাহেদুল খবির প্রমুখ।
আগামী নিউজ/ডিএম/ হাসি/এনএনআর