ঢাকাঃ এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলে অসন্তুষ্ট শিক্ষার্থীদের পুনঃনিরীক্ষার আবেদনের সময় শেষ হচ্ছে আজ রোববার (২০ ফেব্রুয়ারি)। গত ১৪ ফেব্রুয়ারি এসএমএসের মাধ্যমে ফল পুনঃনিরীক্ষণের আবেদন শুরু হয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় পাস করেও প্রায় ৫০ হাজার শিক্ষার্থী পছন্দের কলেজে ভর্তির সুযোগ পাচ্ছেন না। এরমধ্যে জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থী রয়েছেন এক হাজার ৩০০ জন। পছন্দের কলেজে আবেদন করে ভর্তির জন্য তৃতীয় তথা শেষ ধাপেও তারা মনোনীত হয়নি।
একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির জন্য সারাদেশে ১৫ লাখ ছয় হাজার ৭৬৩ জন শিক্ষার্থী আবেদন করেন। এরমধ্যে শেষধাপ পর্যন্ত ১৪ লাখ ৬৩ হাজার ৪৩৬ জন শিক্ষার্থী পচ্ছন্দের কলেজে ভর্তির জন্য নির্বাচিত হন। আবেদন করেও সারাদেশে ৪৩ হাজার ৩৩০ জন শিক্ষার্থী ভর্তির সুযোগ পাননি। এর মধ্যে জিপিএ-৫ পাওয়া এক হাজার ৩০০ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। তাদের মধ্যে ঢাকা বোর্ডের ৫৪৪ জন।
জানতে চাইলে আন্তঃশিক্ষা সমন্বয় বোর্ডের কলেজ পরিদর্শক অধ্যাপক আবু তালেব মো. মোয়াজ্জেম হোসেন রোববার বলেন, যারা একাদশে ভর্তির সুযোগ পাননি, তাদের জন্য চতুর্থ ধাপে আবেদন করার সুযোগ দেওয়া হবে। আগামী সপ্তাহের শুরুতে চতুর্থ ধাপের আবেদন কার্যক্রম শুরু হতে পারে। চতুর্থ ধাপে অনলাইনভিত্তিক আবেদন ও সফটওয়্যারের মাধ্যমে মেধা তালিকা প্রকাশ করা হবে। আশা করছি, এ ধাপে শূন্য আসন থাকা কলেজগুলোতে তারা ভর্তি হতে পারবেন।
তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত ৯৫ শতাংশ আবেদনকারী ভর্তি হয়ে গেছেন। যে পাঁচ শতাংশ নানা কারণে ভর্তির বাইরে রয়েছে। কিছু কলেজ তাদের বড় একটি অংশকে ভর্তির ফলাফল দেখিয়ে ভিন্ন জায়গায় আবেদন করতে দিচ্ছে না বলে এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
তবে সেটি না করে যেখানে শূন্য আসন আছে, চতুর্থ ধাপে সেসব কলেজে আবেদন করার পরামর্শ দিয়েছেন এই কর্মকর্তা।
ঢাকা বোর্ডের একজন কর্মকর্তা জানান, চতুর্থ ধাপে ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু করতে আজ (রোববার) বুয়েটের সঙ্গে বৈঠক রয়েছে। আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি থেকে চতুর্থ ধাপের অনলাইন আবেদন শুরু নিয়ে আলোচনা হবে এবং আবেদন, কলেজ নিশ্চায়ন ও ভর্তির সময় নির্ধারণ করা হবে।
গত ৮ জানুয়ারি উচ্চমাধ্যমিক বা একাদশ শ্রেণিতে শিক্ষার্থীদের অনলাইন ভর্তির আবেদন শুরু হয়। গত ১০ ডিসেম্বর দ্বিতীয় ধাপে এবং ১৫ ফেব্রুয়ারি তৃতীয় তথা শেষ ধাপে ভর্তির ফল প্রকাশ করা হয়।
গত ১৩ ফেব্রুয়ারি এইচএসসি ও সমমানের ফল প্রকাশ করা হয়। এতে পাশের হার ৯৫ দশমিক ২৬ শতাংশ। এ বছর এইচএসসি ও সমমানে জিপিএ-৫ পেয়েছেন ১ লাখ ৮৯ হাজার ১৬৯ জন শিক্ষার্থী।
প্রতি বছর এপ্রিলে শুরু হলেও করোনার কারণে নির্ধারিত সময়ের প্রায় ৮ মাস পর গত বছরের ২ ডিসেম্বর সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে শুরু হয়েছিল ২০২১ সালের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। বিভাগভিত্তিক তিনটি নৈর্বাচনিক বিষয়ের ছয়টি পত্রে এবারের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এতে ১১টি শিক্ষা বোর্ডের প্রায় ১৪ লাখ শিক্ষার্থী অংশ নেয়।
আগামীনিউজ/এমবুইউ