সম্প্রতি দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ও আবাসিক হল খুলে দেয়ার সবুজ সংকেত পেয়েছে। মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগামী ২৭শে সেপ্টেম্বরের মধ্যে সকল শিক্ষক-শিক্ষার্থীকে টিকা নিশ্চিত করার নির্দেশ দিয়েছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। পরিস্থিতি অবনতি না হলে একাডেমিক কাউন্সিলের সভা করে অক্টোবরের শুরুতে খুলতে যাচ্ছে আবাসিক হলগুলো। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলো পরিষ্কার ও মেরামতের কাজ চলছে কচ্ছপগতিতে।
তথ্য মতে, ইবিতে ৮টি আবাসিক হল রয়েছে। এসব হলগুলো খোলার প্রস্তুতি নিতে ১ কোটি ৩৫ লাখ টাকা বাজেট দিয়েছে ইউজিসি। তবে বাজেট আসার ৩ মাস পার হলেও এর টেন্ডার প্রক্রিয়া এখনো শেষ হয়নি। ফলে হলের প্রয়োজনীয় সংস্কার ও মেরামতের কাজ আটকে আছে বলে জানিয়েছে হল কর্তৃপক্ষ। এদিকে হলে পানি নিষ্কাষণের জন্য যে ড্রেনগুলো রয়েছে সবগুলো আবর্জনায় ঢেকে আছে। সীমিত পরিসরে হলের অভ্যন্তরে ঝোপঝাড় পরিষ্কার করা হলেও হল সংস্কার ও মেরামত, বিশুদ্ধ পানির সংকট দূর করা, পানির ট্যাংক পরিষ্কার করা, জীবাণুনাশক ব্লিসিং ছিটানোসহ আরও অন্যান্য বিষয়ে কার্যকর কোন পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি হল কর্তৃপক্ষকে। অল্প সময়েই স্বাস্থ্যকর পরিবেশ নিশ্চিত করে হল খোলার বিষয়টা চ্যালেঞ্জ হবে বলে মন্তব্য করেছেন সচেতন শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।
এ বিষয়ে লালন শাহ হলের প্রভোস্ট প্রফেসর ড. ওবায়দুল ইসলাম বলেন, হলের অধীনে কিছু কাজ করেছি। কিন্তু হলের ফান্ডের অভাবে সকল কাজ করতে পারছি না। প্রশাসন থেকে ফান্ডের ব্যবস্থা করলে সকল কাজ সম্পন্ন করা যাবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রকৌশলী মুন্সী শহীদ উদ্দীন মো. তারেক বলেন, গত ১৪ই সেপ্টেম্বর টেন্ডার আহবান করেছি। ২৭ তারিখ টেন্ডার ওপেন করা হবে। টেন্ডার ওপেনের ৭-৮ দিনের ভিতর কাজ শুরু হবে।
এ বিষয়ে প্রভোস্ট কাউন্সিলের সভাপতি প্রফেসর ড. তপন কুমার জোদ্দার বলেন, কর্তৃপক্ষের অনুমতি পেলে আমরা তৎক্ষণাৎ হলগুলো খুলে দিবো। হলগুলো খোলার প্রস্তুতি প্রায় শেষ করেছি আমরা। তবে হলগুলো খোলার পর শিক্ষার্থীদের রুমগুলো আমরা স্যানিটাইজ করে দিবো।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর ড. আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া বলেন, হল প্রস্তুতির প্রক্রিয়া চলমান। কিছু কাজ বাকী থাকলে হল কর্তৃপক্ষের চাহিদা অনুযায়ী তাদের বাজেট দেয়া হবে।