কৌশিক আহমেদ, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
জুলাই ৩, ২০২১, ০৭:২২ পিএম
গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের প্রভাষক কাজী এম আনিছুল ইসলাম
কুমিল্লাঃ বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) ৮০তম সিন্ডিকেটে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের প্রভাষক কাজী এম আনিছুল ইসলামের পদোন্নতি স্থগিতের সিদ্ধান্তে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। বিতর্ক উঠেছে, আবেদনপত্রে ‘টু রেজিস্ট্রার’ না থাকায় পদোন্নতি স্থগিত করা হয়েছে। তবে বিষয়টি মিডিয়ায় ভুলভাবে উপস্থাপিত হচ্ছে বলে দাবি করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। প্রশাসনের দাবি, এখানে কোনো ব্যক্তি বা রেজিস্ট্রারের সম্পর্ক নেই, বরং ৬৮তম সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে আবেদন করা হয়নি বলে তা স্থগিত করা হয়েছে।
২০১৮ সালের ২৯ মে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬৮তম সিন্ডিকেটে পদোন্নতির বিষয়ে একটি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ‘চাকরিরত প্রার্থীদের অবশ্যই যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে। আবেদনকারীর আবেদনপত্র সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের রেজিস্ট্রার/প্রতিষ্ঠান কর্তৃক কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্ট্রার বরাবর অগ্রায়িত হতে হবে অথবা সরবরাহকৃত মূল আবেদনপত্রে প্রতিষ্ঠান প্রধানের স্বাক্ষর ও সিলসহ অগ্রায়িত শব্দটি লেখা থাকলে তা যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে আবেদন বলে বিবেচিত হবে।’ এ সিদ্ধান্ত প্রতিটি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ থাকে। আনিছুল ইসলাম যে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে আবেদন করেছেন সেখানেও এ সিদ্ধান্ত যুক্ত ছিল।
আবেদনের সময় ৬৮তম সিন্ডিকেটের নিয়মটা জানতেন কিনা এমন প্রশ্নে কাজী এম আনিছুল ইসলাম বলেন, জানতাম। তবে তা জানা না জানার বিষয় না। বিষয়টা হচ্ছে, শর্তের মধ্যে টু রেজিস্ট্রার লেখা বা না লেখার কথা বলা নেই। নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে টু রেজিস্ট্রার বা বিস্তারিত নেই। বলা আছে, রেজিস্ট্রার বরাবর অগ্রায়িত হতে হবে। তখন ওই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আমাকে ফরওয়ার্ডিং লেটার দিয়েছে।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমরান কবির চৌধুরী বলেন, এখানে সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত অমান্য করে একজনকে পদোন্নতি দিতে হলে আরও অনেকজনকে দিতে হবে। তা না হলে তারা বঞ্চিত হবেন। এসব কথা বিবেচনা করে পদোন্নতি স্থগিত করে সিন্ডিকেটে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সেটি আবার বিভাগের প্ল্যানিংয়ে পাঠানো হবে। বিভাগ থেকে যদি ত্রুটিমুক্ত হয়ে আসতে পারে সেটা বিবেচনা করা হবে। প্রথমে এটা বিভাগের ভুল হয়েছে। এ কারণেই বিভাগে আবার পাঠানো হয়েছে।